লোহিতাভ ফুল
- মৃত্যুঞ্জয় রায়
- ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বলছি ‘লোহিতাভ’ একটি চিরসবুজ গাছ। ছোট বৃক্ষের ডালপালা মাটির একটু ওপর থেকেই বাড়তে দেখা যায়। পাতা খুব ঘন ঝোপালো বলে গাছের নিচটা অন্ধকার ছায়াচ্ছন্ন থাকে আর ফুলকে খুঁজে দেখতে হয়। লোহিতাভের পাতা যৌগিক, ১০ থেকে ১৪টি পত্রবিশিষ্ট, বোঁটা ছোট, অগ্রভাগ সূচাল। ফুল না ফোটা পর্যন্ত গাছের পাতা দেখে অশোক বৃক্ষ বলেই মনে হয়। বসন্তকালই এর ফুল ফোটার আসল সময়। থোকা থোকা লাল ফুল ডালের অগ্রভাগে ফোটে এবং ডালগুলো ফুলের ভারে নুয়ে আসে। অনেক ফুল একসাথে মঞ্জরিতে গোলাকার সজ্জায় ফোটে। ফুলের পাপড়ির সংখ্যা পাঁচটি, মুক্ত ও আকর্ষণীয়। পাপড়িগুলো অসমান। পুংকেশরের সংখ্যা ১১-১২টি। পুংকেশরগুলো পাপড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে, যাদের মাথায় পরাগধানীতে আলগা হলুদ রেণু থাকে। ছোঁয়া দিলেই লেগে যায়। এর প্রায় ১০টি প্রজাতি রয়েছে, তবে এ দেশে খুব একটা চোখে পড়ে না। লোহিতাভের উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Brownea coccinea এবং পরিবার সিসালপিনিয়েসী। প্রজাতির নাম পাপড়ির লাল রঙ থেকেই এসেছে। ফুলটির জন্ম জ্যামাইকা, আদি নিবাস মধ্য আমেরিকা হলেও এখন এ অঞ্চলেও বিভিন্ন উদ্যানে রোপণ করা হচ্ছে। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ উদ্যানে গাছটি আছে। উদ্যান পথের ধারে লোহিতাভ মানানসই। বাগানের রাস্তা থেকে তিন-চার হাত দূরে এ গাছ লাগাতে হয়। ফুলের প্রাচুর্যে যেসব শাখা নুয়ে পড়ে সে রকম ডালে গুটি কলম করে লোহিতাভের চারা তৈরি করা যায়। বর্ষাকাল এর চারা লাগানোর উত্তম সময়। ছবি : লেখক
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা