২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
মেজর সিনহা হত্যা

ওসি প্রদীপসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান ও প্রদীপ কুমার দাশ - ফাইল ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মো: লিয়াকতসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার কক্সবাজারের আদালতে তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের দায়ের করা মামলায় এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এর আগে পরোয়ানাভুক্ত ৯ পুলিশ সদস্যসহ ১৭ জনকে প্রত্যাহার করে নেয় কর্তৃপক্ষ।

গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় বুধবার টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ’র আদালতে ওসি প্রদীপ ও আইসি লিয়াকতসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানার ওসিকে তা এফআইআর হিসাবে রুজু এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব-১৫) তদন্তের নির্দেশ দেয়।

আদালত সূত্র জানায়, আদালতের আদেশ মতে দায়ের করা মামলাটি বুধবার রাতেই টেকনাফ মডেল থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। মামলা নম্বর সিআর: ৯৪/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ)।

জামিন অযোগ্য ধারায় রুজু হওয়া এ মামলায় এজাহারভুক্ত নয় আসামির মধ্যে ওসি প্রদীপ ও আইসি লিয়াকত ছাড়াও আরো আছেন এসআই নন্দলাল রক্ষিত, এসআই টুটুল, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও কনস্টেবল মো: মোস্তফা।

এ মামলায় সাবেক মেজর সিনহার সঙ্গী ও ৩১ জুলাইয়ের ঘটনায় টেকনাফ পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি সাহেদুল ইসলাম সিফাতসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement