টয়লেটের কথা বলে ঢাকা মেডিকেল থেকে পালালো আসামী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৫ মার্চ ২০১৯, ২২:০১
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে চিকিৎসাধীন ডাকাতি মামলার এক আসামী পালিয়েছে। ওই আসামীর নাম ইদ্রিস আলী (৪৫)। তিনি ঢামেকের ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের ২৬ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নিরাপত্তা কর্মীদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান ইদ্রিস।
মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি আওলাদ হোসেন জানান, ইদ্রিস গত ২ ফেব্রুয়ারি চিত্রারচর এলাকা থেকে ডাকাতি করতে গেলে জনতার হাতে আটক হন। পরে তাকে ডাকাতি মামলায় আটক করা হয়। জনতার গণধোলাইয়ে আহত হওয়ায় ওইদিনই তাকে চিকিৎসার জন্য ঢামেকে পাঠানো হয়। সেদিন থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের দুই কন্সটেবল ও ঢামেকের একজন আনসার তাকে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে তিনি পালিয়ে যান। তাকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইদ্রিস শরীয়তপুরের জাজিরার চিত্রারচর গ্রামের রহমান মাতবরের ছেলে বলেও জানান তিনি।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, ইদ্রিস আলীর শরীরে গুলি ছিল। সেটি অপারেশন করার জন্য কয়েকদিন আগে পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। গতকাল প্রাকৃতিক কাজ সারার কথা বলে সাড়ে ছয়টার দিকে টয়লেটে যান। এরপর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে পুলিশ টয়লেটের দরজা ভেঙ্গে দেখে ভেতরে জানালার গ্রিল ভাঙ্গা। সবার চোঁখ ফাঁকি দিয়ে সে টয়লেটের জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
আরো পড়ুন : পুলিশের বিরুদ্ধে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক ০৫ মার্চ ২০১৯, ২০:০২
কেরানীগঞ্জের বাসা থেকে মোহাম্মদ সেলিমকে (৩৮) তুলে নিয়ে গিয়েছিল মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান থানা পুলিশ। পরবর্তীতে ধলেশ্বরী নদীর চরে নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত মানুষের সামনে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এমনই অভিযোগ করেছেন নিহতের স্ত্রী নাসরিন বেগম। গতকাল মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নিহত সেলিমের বৃদ্ধ মা ও নাবালক দুই শিশু সন্তান।
লিখিত বক্তব্যে নাসরিন বেগম জানান, সেলিমের বিরুদ্ধে সিরাজদীখান থানাসহ কোনো থানায়ই অভিযোগ দূরের কথা একটি জিডিও ছিল না। ২০০৬ সালে তার শ্বশুর রুহিতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আনোয়ার হোসেন মেম্বারকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকান্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের মদদে ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দুীর্ঘ ১২ বছর পর তার পুত্র সেলিমকে গত ১ মার্চ শুক্রবার নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সিরাজদীখান থানার ওসির নেতৃত্বে এই হত্যাকান্ড ঘটে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রথমে তার স্বামীকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এসময় কারণ জানতে চাইলে পুলিশ সেলিমের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ জানাতে পারেনি। ধরে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ সেলিমের উপর নির্মম নির্যাতন চালায়। পরে ধলেশ্বরী নদীর চরে নিয়ে সেলিমকে অপরাধী বানিয়ে শত শত লোকজনের সামনে নির্মমভাবে হত্যা করে।
বিধবা নাসরিনের অভিযোগ, কি অন্যায় করেছিল তার স্বামী? যার কারণে পুলিশ বিচার বহির্ভূতভাবে সেলিমকে প্রকাশ্যে হত্যা করলো! পিতৃহারা অবুঝ দুই সন্তান ও বৃদ্ধা শাশুড়িকে নিয়ে বিচারের জন্য কোথায় দাঁড়াবো?
তিনি জানান, তারা জানতে পেরেছেন ২০০৬ সালে তার শ্বশুর আওয়ামীলীগ নেতা শহীদ আনোয়ার হোসেন মেম্বার হত্যাকান্ডে জড়িতরা সিরাজদীখান থানার ওসিকে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ দিয়ে তার ছেলে সেলিমকে হত্যা করিয়েছে। যাতে করে কেউ ওই হত্যাকান্ডের বিচার চাইতে না পারে।
তিনি এই দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সিরাজদীখান থানার ওসিসহ জড়িত অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা