০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১, ৫ রজব ১৪৪৬
`

জোর করে হারিয়ে দেয়া হয়েছে নেপালকে!

জোর করে হারিয়ে দেয়া হয়েছে নেপালকে! - ছবি : সংগৃহীত

চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য শেষ ২ বলে ২ রান দরকার ছিল নেপালের। হাতে ছিল চারটি উইকেট। এই অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার বার্টম্যান ১৯.৫ ওভারে বাউন্সারে পরাস্ত করেন নেপালের ব্যাটার গুলশান ঝা-কে। গুলশান ব়্যাম্প শট খেলার চেষ্টা করেন। যদিও বল ব্যাটে লাগেনি।

ফলে জিততে শেষ বলে ২ রান দরকার ছিল নেপালের। বার্টম্যান ফের বাউন্সার দেন গুলশানকে। এবারও ব়্যাম্প শট খেলার চেষ্টায় পরাস্ত হন ব্যাটার। বল চলে যায় উইকেটকিপার কুইন্টন ডি'ককের দস্তানায়। দুই ব্যাটার গুলশান ও সোমপাল কামি বাই-রান নিয়ে ম্যাচ টাই করার চেষ্টা করেন। যদিও তারা শেষমেশ প্রান্ত বদল করতে পারেননি।

ডি'ককের ছোঁড়া বল ধরে এনরিখ ক্লাসেন যখন নন-স্ট্রাইকার প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দেন, তখনো ক্রিজে পৌঁছতে পারেননি গুলশান ঝা। তিনি রান-আউট হন এবং ১ রানে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় নেপালকে। সন্দেহ নেই নেপাল যদি দক্ষিণ আফ্রিকাকে এই ম্যাচে হারিয়ে দিত, তবে এটি তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের সব থেকে বড় জয় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকত।

ম্যাচের শেষে নেটিজেনরা আম্পায়ারদের বিরাট একটি ভুল খুঁজে বের করেন। এর পরে দাবি উঠতে শুরু করে যে নেপালকে ইচ্ছা করে ঐতিহাসিক জয় থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আসলে প্রোটিয়া পেসার বার্টম্যান ওভারের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে পরপর ২টি বাউন্সার করেন। এক ওভারে একটি বাউন্সার করা যায়। এক্ষেত্রে ২টি বাউন্সারকে কিভাবে বৈধ ঘোষণা করেন আম্পায়াররা, সেটিই বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকে।

তাছাড়া নেটিজেনদের অনেকেই দাবি করেন যে শেষ বলটি ওয়াইড ছিল। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রিনশট শেয়ার করে নিজেদের যুক্তির স্বপক্ষে প্রমাণও পেশ করেন। সুতরাং, বার্টম্যানের শেষ বলটি যদি ওয়াইড হতো, তাহলে ১ বল বাকি থাকতেই দু'দলের স্কোর লেভেল হয়ে যেত।

উল্লেখ্য, শনিবার কিংসটাউনে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১১৫ রান সংগ্রহ করে। রিজা হেনড্রিক্স ৪৩, ত্রিস্তান স্টাবস ২৭, এডেন মার্করাম ১৫ ও কুইন্টন ডি'কক ১০ রান করেন। নেপালের কুশল ভুর্তেল ১৯ রানে ৪টি উইকেট নেন। দীপেন্দ্র সিং আইরি ২১ রানে ৩টি উইকেট দখল করেন।

পালটা ব্যাট করতে নেমে নেপাল ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১১৪ রানে আটকে যায়। আসিফ শেখ ৪২, অনিল শাহ ২৭ ও কুশল ভুর্তেল ১৩ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার তাবরেজ শামসি ১৯ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement
সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাসদস্যদের প্রস্তুত রাখতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা খাদ্যগুদাম তৈরিতে পরামর্শক খরচই ২৯০ কোটি টাকা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল সফটওয়ার শিল্পে কর্মসংস্থান ও বিদেশী মুদ্রা হারানোর শঙ্কা তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন : সালাহউদ্দিন বাধ্যতামূলক ছুটি ৬ ব্যাংকের এমডিকে ভয়ঙ্কর রূপে তালিকাভুক্ত ৯৭৯ ছিনতাইকারী ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ সেন্টমার্টিন রক্ষায় বিশ্বমানের উদ্যোগ আরামকোর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে স্বাগত জানানো হয়নি : সৌদি রাষ্ট্রদূত

সকল