টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাতকাহন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০১ জুন ২০২৪, ১২:৪০, আপডেট: ০১ জুন ২০২৪, ১৩:৩৫
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপের দামামা বেজে উঠেছে। রাত পোহালেই মাঠে গড়াচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের আবহে নিজেদের মুড়িয়ে নিয়েছে দলগুলো। গোটা এক কুঁড়ি দেশ লড়াই করবে একটা শিরোপার জন্য।
বিশ্বকাপ ঘিরে আলোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে ক্রিকেট বিশ্ব। বিশ্বকাপের আমেজ ছুঁয়ে গেছে ক্রীড়ামোদীদের। দেশে দেশে বিচরণ করছে উত্তেজনা। বিশ্বকাপকে ঘিরে এত সরগরম হয়ে উঠেছে ক্রিকেটপাড়া, চলুন দেখে আসি বিশ্বকাপের ইতিবৃত্তটা।
২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত আট আসরে ছয় চ্যাম্পিয়ন দেখেছে বিশ্ব। একাধিকবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২০১২ ও ২০১৬) ও ইংল্যান্ড (২০১০ ও ২০২২)। একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত (২০০৭), পাকিস্তান (২০০৯), শ্রীলঙ্কা (২০১৪) ও অস্ট্রেলিয়া (২০২১)।
এই আট আসরের সেরা ক্রিকেটারও অবশ্য সাতজন। দু’বার আসর সেরা নির্বাচিত হয়েছেন বিরাট কোহলি। ২০১৪ ও ২০১৬ পরপর দুই আসরে জেতেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার। তবে শিরোপা জেতাতে পারেননি দেশকে।
২০০৭ সালে প্রথম আসরে ব্যাটে-বলে দ্যুতি ছড়িয়ে আসর সেরা নির্বাচিত হন শহিদ আফ্রিদি। ৯১ রানের পাশাপাশি ১২ উইকেট নেন তিনি। পরেরবার তিলকারত্মে দিলশান ৩১৭ রান করে জেতেন এই পুরস্কার। ২০১০ সালে এই পুরস্কার দখলে নেন কেভিন পিটারসেন (২৪৮ রান)।
২০১২ সালের আসরে শেন ওয়াটসন দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হন। ২৪৯ রান ও ১১ উইকেট ছিল তার। পরের দুই আসরে কোহলি ৩১৯ রান ও ২৭৩ রান নিয়ে আসর সেরা হন। ২০২১ সালে ডেভিড ওয়ার্নার ২৮৯ রান নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হন। ১৬ উইকেট নিয়ে ২০২২ সালে এই পুরস্কার জেতেন স্যাম কারান।
এখন পর্যন্ত সবগুলো আসরেই খেলেছেন শুধু মাত্র এবারের বিশ্বকাপের দুই অধিনায়ক, ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুরুর আসর থেকে প্রতিটি আসরেই নিজ দলের হয়ে মাঠে নেমেছেন তারা।
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও উইকেট শিকারি কারা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাতকাহন
বিরাট কোহলি ৮৪৫ রান, মাহেলা জয়াবর্ধনে ১ হাজার ১৬ রান, ক্রিস গেইল ৯৬৫ রান, রোহিত শর্মা ৯৬৩ রান, তিলকারত্মে দিলশান ৮৯৭ রান।
সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি
সাকিব আল হাসান ৪৭ উইকেট, শহিদ আফ্রিদি ৩৯ উইকেট, লাসিথ মালিঙ্গা ৩৮ উইকেট, সাইদ আজমল ৩৬ উইকেট, অজান্তা মেন্ডিস ৩৫ উইকেট।
বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক ২০টি দল অংশ নিচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক আসরে। বড় দলগুলোর মাঝে টেস্ট খেলুড়ে দেশ জিম্বাবুয়ে বাদ পড়েছে, তারা বাছাইপর্বের বাধা পার হতে পারেনি। আর প্রথমবারের মতো খেলছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও উগান্ডা।
প্রথম পর্বে ২০টি দলকে ভাগ করা হয়েছে চার ভাগে। যেখান থেকে শীর্ষ দু’দল নিয়ে হবে সুপার-৮।
গ্রুপ এ : কানাডা, ভারত, আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র।
গ্রুপ বি : অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নামিবিয়া, ওমান, স্কটল্যান্ড।
গ্রুপ সি : আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, উগান্ডা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
গ্রুপ ডি : বাংলাদেশ, নেপাল, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য বৈশ্বিক আয়োজন নতুন না
যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথম ক্রিকেটের কোনো আইসিসি ইভেন্ট হচ্ছে। মোট ৫৫টি ম্যাচের মধ্যে ১৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এখানকার তিনটি শহরে। ফ্লোরিডার সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড কাউন্টি স্টেডিয়াম, নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশন্যাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। তবে সুপার-৮ বা প্লে অফের কোনো ম্যাচ নেই এই শহরে।
অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছয়টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে বেশিভাগ ম্যাচ। ভেন্যুগুলো হলো স্যার ভিভিয়ান রিচার্ড স্টেডিয়াম, কেনসিংটন ওভাল, গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম, সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রানাডাইন্সের অ্যারন্স ভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ব্রায়ান লারা ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠে। টোবাগোর এই মাঠে একটা সেমিফাইনালও। অন্যটা গায়ানায়। আর ফাইনাল গড়াবে বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে।
যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ ১ জুন হলেও বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী এটি শুরু হবে ২ জুন ভোর সাড়ে ৬টায়। যেখানে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। খেলা হবে টেক্সাসের নাসাও কাউন্টি মাঠে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা