সাকিবকে ছাপিয়ে গেলেন গম্ভীর, হায়দরাদের লজ্জার রেকর্ড
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ মে ২০২৪, ০৫:৩৭
উত্তেজনার ধারেকাছেও গেল না এবারের আইপিএল ফাইনাল। একপেশে ম্যাচে দাপুটে জয় পশ্চিমবঙ্গের। কলকাতার কাছে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করছে হায়দরাবাদ। শিরোপা তো হাতছাড়া করেছেই, গড়েছে লজ্জার রেকর্ডও।
যে হায়দরাবাদ পুরোদস্তুর তাণ্ডব চালিয়েছে আসরজুড়ে, চার-ছক্কা আর রানে তছনছ করেছে আইপিএল ইতিহাস; গড়েছে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ফাইনালে সেই দলটাই যেন পুরোপুরি বর্ণহীন, শীতল। স্টার্ক, রাসেল আর রানার তোপে দাঁড়াতেই পারেনি তারা।
আইপিএলের ফাইনালে রোববার চেন্নাইয়ের চিপাক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি হায়দরাবাদ। ১৮.৩ ওভারেআত্র ১১৩ রানে অলআউট হয়ে প্যাট কামিন্সের দল। আইপিএলের ফাইনালে, যা যেকোনো দলের সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
হায়দরাবাদ অলআউট হতে পারত এক শ'র আগেই। ৯০ রানে ৮ উইকেট হারায় দলটি। তবে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের কল্যাণে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছায় তারা। ১৯ বলে ২৪ রান করেন কামিন্স। হায়দরাবাদের হয়ে যা ইনিংস সর্বোচ্চ। তাছাড়া ২০ রান করেন মার্করাম।
আইপিএলের শুরুর দিকে ফর্মে না থাকা স্টার্ক শেষের দিকে দারুণভাবে কামব্যাক করেছেন। ফাইনালেও করেছেন আগুনঝরা বোলিং। ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। হারশিত রানাও নিয়েছেন ২ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল।
ছোট লক্ষ্য পাত্তাই দেয়নি কলকাতা। ১০.৩ ওভারেই নিশ্চিত করেছে শিরোপা। ২৬ বলে অপরাজিত ৫২* রানের ইনিংস খেলেন ভেঙ্কাটেশ আইয়ার। জয় তুলে নেয় ৫৭ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই। যা বল আর উইকেটের বিচারে আইপিএল ফাইনালে সবচেয়ে বড় জয়।
এই জয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স পেয়েছে তাদের তৃতীয় আইপিএল শিরোপার স্বাদ। শিরোপা সংখ্যাতেও এখন তৃতীয় তারা। সামনে কেবল মুম্বাইয় ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। উভয় দলই শিরোপা জিতেছে পাঁচবার করে।
এর আগে ২০১২ ও ২০১৪ সালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন হলো কলকাতা, ফুরিয়েছে এক দশকের অপেক্ষা। তবে আগের দুই বারের মতো এবার কলকাতার শিরোপা জয়ে নেই সাকিব আল হাসানের ভূমিকা। আগের দুইবার চ্যাম্পিয়ন হতে সম্মুখ থেকে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশী এই অলরাউন্ডার।
সাকিব না থাকলেও আছে গম্ভীর। দলটির তিনটি শিরোপা জয়ের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকলেন গৌতম গম্ভীর। আগের দুবার ছিলেন অধিনায়ক হিসেবে, এবার থাকলেন পরামর্শকের ভূমিকায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা