পকেট ভারী হতে যাচ্ছে সাকিব-তামিমদের, বাড়ছে ম্যাচ ফি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১৪:৪৮
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাফল্য যেমন বাড়ছে, তেমনি ভারী হচ্ছে সাকিব-মুশফিকদের পকেট। বিশ্বকাপের আগে আরেকটি সুখবর পেতে যাচ্ছেন তারা। আরো এক দফা বাড়তে যাচ্ছে ম্যাচ ফির পরিমাণ।
জানা গেছে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, তিন ফরম্যাটেই ম্যাচ ফি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। শিগগিরই যে প্রস্তাবনা উঠবে বোর্ড সভায়। যেখানে নাকি ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৬৬ শতাংশ ম্যাচ ফি বাড়ছে। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ৫০ ও টেস্টের ম্যাচ ফি বাড়ছে প্রায় ৩৪ শতাংশ।
এর আগে সবশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ম্যাচ ফি বেড়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। সেবার টেস্টের জন্য আগের থেকে দ্বিগুণ ছয় লাখ টাকা, প্রতি ওয়ানডের জন্য তিন লাখ টাকা ও টি-টোয়েন্টির ম্যাচ ফি দুই লাখ টাকা নির্ধারণ করেছিল ক্রিকেট বোর্ড।
তবে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই পরিমাণ ম্যাচ ফি বাড়ছে নিশ্চিতভাবেই। টেস্টের জন্য দুই লাখ বেড়ে আট লাখ টাকা, ওয়ানডেতে দুই লাখ বেড়ে পাঁচ লাখ টাকা ও টি-টোয়েন্টির জন্য এক লাখ টাকা বেড়ে ম্যাচ ফি নির্ধারিত হতে পারে তিন লাখ টাকা।
বর্তমান বোর্ড দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৩ থেকে ২০২০ পর্যন্ত চার দফায় বাড়ায় ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফি। ২০১২ সালে একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য দেয়া হতো দেড় লাখ টাকা। ২০১৩ সালে যা ছিল দুই লাখ টাকা। ২০১৭ সালে যা বেড়ে দাঁড়ায় তিন লাখ টাকায়। আর ২০২০ সালে দ্বিগুণ, ছয় লাখ।
তবুও শীর্ষ দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তুলনামূলক কম ম্যাচ ফি পেয়ে থাকেন। ভারত প্রতি টেস্টের জন্য ক্রিকেটারদের ১৫ লাখ রুপি ম্যাচ ফি দিয়ে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা টেস্ট প্রতি ১৪ লাখ ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা পান ২০ লাখ টাকা করে।
মূলত, যেভাবে ক্রিকেটে বাড়ছে ফ্রাঞ্চাইজি লিগের দাপট, তাতে জাতীয় দলে ক্রিকেটার পাওয়া নিয়ে সঙ্কটে অনেক দেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডের ক্রিকেট যার জ্বলন্ত উদাহরণ।
যদিও ‘কোলপ্যাক চুক্তি’ নিয়ম বাতিল করে আপাতত ক্রিকেটারদের নিয়ন্ত্রণ করা গেছে, পুরো বছরের জন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি করতে লোভনীয় অংকের অর্থ প্রস্তাবও দেয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় ম্যাচ ফি ও বেতন বাড়িয়ে ক্রিকেটারদের সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে বোর্ড।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা