২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে ব্যাটিংয়ে দ. আফ্রিকা

ফলোয়ানে পড়েছে বাংলাদেশ। - ছবি : সংগৃহীত

পোর্ট অব এলিজাবেথের সেন্ট জর্জ পার্কে দ্বিতীয় টেস্টে লড়ছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১৭ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ৪৫৩ রান। ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশের দরকার ছিল ২৫৩ রান। কিন্তু পারেনি বাংলাদেশ। ফলে ফলোঅনে পড়ে তারা। এরপরও বাংলাদেশকে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠায়নি স্বাগতিকরা। ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

রোববার তৃতীয় দিনের খেলা নির্ধারিত সময় শুরু হয়নি বৃষ্টির কারণে। দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডাররা মাঠে নামার পরই বিপত্তি। শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। ক্রিকেটাররা মাঠ ছেড়ে আশ্রয় নেন ড্রেসিং রুমে। ১৫ মিনিট শুরু হয় খেলা। প্রবল চাপে থাকা বাংলাদেশ মাঠে নেমে মুশফিক ও ইয়াসিরের ব্যাটে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। বাংলাদেশও পেতে শুরু করলো স্বস্তি।

তবে ৭০ রানের জুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশভ মহারাজ। আলগা শটে তার বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইয়াসির। অল্পের জন্য হলো না তার ফিফটি। ৮৭ বলে ইয়াসিরের রান ৪৬।

মুশফিকের সঙ্গে নতুন পার্টনার মেহেদী হাসান মিরাজ। সাইমন হার্মারের বলে সুইপ শটে ফিফটি পূর্ণ করেন মুশফিক। তারপর আত্মঘাতি শটে বিদায় নিতে হয় তাকে। ফিফটি করেই হয়তো নিজের কাজ শেষ মনে করলেন মুশফিকুর রহিম। আউট হয়ে গেলেন ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় অবিশ্বাস্য এক শট খেলে।

সাইমন হার্মারের প্রথম বলে চার মেরে ফিফটি করেন মুশফিক, পরের বল লাগে প্যাডে। জোরাল আবেদনে আউট দেননি আম্পায়ার। দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো রিভিউ তখন বাকি নেই। রিপ্লেতে দেখা, আউট ছিলেন মুশফিক। তবে প্রোটিয়াদের আক্ষেপে পুড়তে হয়নি একটুও। পরের বলেই উইকেট উপহার দেন মুশফিক। হার্মারের ফুল লেংথ বলে তিনি রিভার্স সুইপ করার চেষ্টা করলেন। ব্যাটের নিচ দিয়ে গিয়ে বল লাগল স্টাম্পে। ১৩৬ বলে ৫১ রানে আউট মুশফিক।

মিরাজের নতুন সঙ্গী তখন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। লাঞ্চের পর থেকে আগ্রাসী সব শট খেলার চেষ্টা করছিলেন তাইজুল ইসলাম। খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তাই। সাইমন হার্মারের ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারিতে বলের পিচে তা গিয়েই উড়িয়ে মারেন তাইজুল। বল টার্ন করে তার ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে সহজ ক্যাচ উঠে যায় মিড অফে।

১৪ বলে ৮ রান করে তাইজুল ক্যাচ দেন উইলিয়ামসের হাতে। পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন স্বীকৃত একমাত্র ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজ। একের পর এক সঙ্গীকে হারিয়ে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় কেশভ মহারাজকে উড়িয়ে মারলেন তিনি। তবে টাইমিং হলো না যথেষ্ট ভালো। অন সাইডে সীমানায় একজন ফিল্ডারই ছিল। স্লগ সুইপে তিনি বল তুলে দিলেন মিড উইকেটে অলিভিয়ের হাতে। ৩৫ বলে ১১ রান করে আউট মিরাজ। তার ইনিংসে ছিল একটি চারের মার। বাংলাদেশের রান ৯ উইকেটে ২১৭।

শেষ জুটিতে দুজনই ছিলেন পেসার। ইবাদত ও খালেদ শেষ উইকেট জুটিতে স্মরণীয় কিছু করতে পারেননি। হার্মারের বলে উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোন রান না করা ইবাদত হোসেন। বাংলাদেশ অল আউট ২১৭ রানে। বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে হার্মার ও মাল্ডার তিনটি এবং অলিভিয়ের ও মহারাজ দুটি করে উইকেট নেন।


আরো সংবাদ



premium cement
মানবতার কল্যাণই জামায়াতের রাজনীতির মূলমন্ত্র : ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম ডেঙ্গুতে বাড়ছে মৃত্যু, সরকারের পদক্ষেপ কী? চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্যাকিং গ্রুপকে টার্গেট করছে যুক্তরাষ্ট্র ভারত ৪০০-এর আগেই গুটিয়ে যাবে : মাহমুদ হাসান ট্রাম্পের টার্গেট ইউক্রেন, কমলার গাজা সুইয়িং স্টেটগুলোর ভোটে প্রেসিডেন্ট হবেন ট্রাম্প! ইউক্রেনে যাচ্ছে ভারতের অস্ত্র! ক্ষুব্ধ রাশিয়া মার্কিন আদালতে অজিত ডোভালকে সমন, খালিস্তানি নেতাকে খুনের চক্রান্তের অভিযোগ ইসরাইলের বিরুদ্ধে 'কঠোর প্রতিশোধের' অঙ্গীকার হাসান নাসরাল্লাহর অভয়নগরে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত ১, আহত ২ জাবির সাবেক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা : বহিষ্কার ৮

সকল