২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সেই কানেরিয়াকে নিয়ে তোলপাড় পাকিস্তান ক্রিকেটে

সেই কানেরিয়াকে নিয়ে তোলপাড় পাকিস্তান ক্রিকেটে - ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের হিন্দু ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে ড্রেসিংরুমেই নির্যাতনের শিকার হতেন, বিস্ফোরক ভঙ্গিতে সাবেক পেসার শোয়েব আখতারের এমন স্বীকারোক্তি নড়িয়ে দিয়েছে ক্রিকেট মহলকে। ঘটনার উত্তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবার প্রতিক্রিয়া দিতে বাধ্য হলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। (পিসিবি) পিসিবির তরফে সাফ জানানো হলো, দোষী ক্রিকেটারদের প্রকাশ্য়ে আনা হোক।

পিসিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলে জানিয়ে দিলেন, “আখতার ও কানেরিয়া দু-জনেই অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটার। পিসিবির সঙ্গে তারা চুক্তিবদ্ধও নয়। তারা যা খুশি তা বলতেই পারেন। তবে তারা পাকিস্তান কিংবা পাকিস্তান ক্রিকেটের সিস্টেম নয়, কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন।” এরপরেই সাবেক অধিনায়কদের এই বিষয়ে মুখ খোলার বার্তা দিয়েছেন সেই কর্তা।

তিনি জানিয়েছেন, “কানেরিয়া খেলার সময়ে ইনজামাম উল হক, রশিদ লতিফ, ইউনিস খান, মোহাম্মদ ইউসুফ পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন। আখতার কিংবা কানেরিয়া যা বলছে, তাতে এই সময়ে তাদের মুখ খোলা উচিত। বোর্ড কেন নিজেকে এর মধ্যে জড়াবে!”

আখতার কিংবা কানেরিয়া যদিও পাকিস্তান ক্রিকেটের একাংশকে পাশে পেয়েছেন। সাবেক দুই তারকা ইকবাল কাশিম, মহসিন খানেরা সরাসরি কানেরিয়ার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। কাশিম জানিয়েছেন, “যদি কোনো ক্রিকেটার কানেরিয়াকে ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে হেনস্থা করে থাকে, তাহলে তাদের নাম প্রকাশ্য়ে আনা হোক।”

কার্যত একই সুরে মহসিন খান জানিয়েছেন, “ধর্ম, বর্ণ নয়, দলের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং ক্রিকেটীয় স্কিলই একজন ক্রিকেটারের পরিচয় হওয়া উচিত।”

২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে পাকিস্তানের জাতীয় দলে খেলেছেন দানিশ কানেরিয়া। অনিল দলপতের পরে দানিশ কানেরিয়া পাকিস্তানের দ্বিতীয় হিন্দু ক্রিকেটার হিসেবে জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ঘটনাচক্রে, অনিল দলপত আবার দানিশ কানেরিয়ার চাচা হন সম্পর্কে।

তারকা স্পিনার ৬২ ম্যাচে ২৬১টি উইকেট নিলেও কানেরিয়ার ক্রিকেট কেরিয়ারে ইতি নেমে আসে গড়াপেটার অভিযোগে ইসিবি আজীবন তাকে নিষিদ্ধ করে দেয়ায়।
সূত্র : এনডিটিভি


আরো সংবাদ



premium cement