পারলেন না আশরাফুল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০১ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:১৮
জাতীয় লিগের সমন্বয় সভা শেষে নেয়া হয়েছিলো বেশ কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত। এরমধ্যে বড় একটি সিদ্ধান্ত হলো, জাতীয় লিগ খেলতে হলে ফিটনেস পরীক্ষায় অন্তত ‘১১’ পেতেই হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের(বিসিবি) গত বছর যার মানদণ্ড করে ছিলো ‘৯’। একবছর পর এবার তা করা হলো ‘১১’তে।
হঠাৎ বিসিবির এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটারদের মাঝে গত কদিন ধরেই প্রতিক্রিয়া দেখা যায় এ নিয়ে।
৩৩-৩৪ পেরোনো একজন ক্রিকেটারের জন্য ফিটনেস টেস্ট উত্তীর্ণ হওয়া অনেক কঠিনই বটে। ৩৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ আশরাফুল ও ৩৭ বছরের আব্দুর রাজ্জাকদের মতো বড় ক্রিকেটারদের জন্য তা অসনী সংকেত আগেই বলা হয়েছে। এবার তার বাস্তব চিত্রও ঘটল মঙ্গলবার।
বিপ টেস্ট পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল, আব্দুর রাজ্জাক ও নাসির হোসেনের মতো ক্রিকেটাররা। আশরাফুল ৯.৭, রাজ্জাক ৯.৬ এবং নাসির ৯.২ পয়েন্ট পেয়েছেন বিপ টেস্টে।
যে পরীক্ষায় সেরা হয়েছেন তামিম ইকবাল। আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিপ টেস্টে সর্বোচ্চ ১২.১ পয়েন্ট পেয়েছেন দেশসেরা ওপেনার।
গত জুলাইয়ে তামিমের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অবশ্য সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট এবং ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি খেলেননি। তবে মাঠের বাইরে থাকলেও বসে ছিলেন না। টানা দেড় মাস ছিলেন থাইল্যান্ডে। এই সময়ে জিমে কঠোর পরিশ্রম করে ওজন কমিয়েছেন প্রায় সাড়ে পাঁচ কেজি! তার সুফলও পেলেন বিপ টেস্টে।
তামিম ছাড়াও বিপ টেস্টে পাস করেছেন জুবায়ের হোসেন লিখন (১১.২ পয়েন্ট), শাহরিয়ার নাফীস (১১.২), আবু হায়দার রনি (১১.১), মার্শাল আইয়ুব (১১.৪), শামসুর রহমান (১১.৩), আল আমিন জুনিয়র (১১.৩), মেহেদি মারুফ (১১.৮), শুভাগত হোম (১১) এবং নাজমুল ইসলাম অপু (১১.১)।
মঙ্গলবার যারা ব্যর্থ হয়েছেন তারা অবশ্য আবারও সুযোগ পাবেন বিপ টেস্টের। তবে জাতীয় লিগে খেলার জন্য ক্রিকেট বোর্ডের বেঁধে দেওয়া ১১ পয়েন্ট তুলতেই হবে তাদের।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা