২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

উপেক্ষিত রাইডু, ‘অভিমানী বিদায়’

ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান আম্বাতি রাইডু। - ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বকাপ দলে ১৫ জনের মধ্যে আম্বাতি রাইডুর নাম না থাকায় ঝড় উঠেছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। নির্বাচকদের কাছে উপেক্ষিত হওয়াটা মেনে নিতে পারেননি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। এমনকি বিশ্বকাপে শিখর ধাওয়ান ও বিজয় শঙ্কর

চোটে পড়ার পরও ডাক না পাওয়ায় বুকভরা অভিমান নিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় বললেন তিনি।

বুধবার ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে পাঠানো এক ই-মেইল পাঠিয়ে অবসরের ঘোষণা দেন রাইডু। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরি নিশ্চিত করেছেন, ক্রিকেট পরিচালন কমিটির মহাব্যবস্থাপক সাবা করিম ই-মেইলটি পেয়েছেন। বোর্ডের কাছে পাঠানো ওই মেইলে রাইডু লিখেছেন,  আমি আপনাদের সবিনয়ে জানাতে চাই, খেলা থেকে আমি সরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্রিকেটের সব ধরনের ফরম্যাট ও পর্যায় থেকে আমি অবসর নিলাম। হায়দরাবাদ, বরোদা, অন্ধ্র ও বিদর্ভসহ সব প্রাদেশিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেয়ায় আমি ধন্যবাদ জানাই বিসিসিআইকে।’

সীমিত ওভারের ক্যারিয়ারে পুরো মনোযোগ দিতে গত নভেম্বরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন ৩৩ বছর বয়সী রাইডু। চোট কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরে ওয়ানডে দলে জায়গা পাকা করেছিলেন তিনি। গত বছরের আইপিএলে মিডল অর্ডারে চমৎকার পারফরম্যান্স করেন। চেন্নাই সুপার কিংসকে শিরোপা জেতানোর পথে দলের শীর্ষ ব্যাটসম্যান ছিলেন রাইডু। তাতে করে জাতীয় দলের চার নম্বর ব্যাটিং পজিশন নিয়ে নির্বাচকদের দুশ্চিন্তা প্রায় দূর করে ফেলেন তিনি। গত মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল।

কিন্তু বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর তার নাম না থাকা ছিল বিস্ময়কর। তাকে উপেক্ষা করে ‘ত্রিমাত্রিক’ ব্যাটসম্যান আখ্যা দিয়ে বিজয় শঙ্করকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেন নির্বাচকরা। এরপরই ব্যঙ্গ করে টু্ইট করেন রাইডু, ‘বিশ্বকাপ দেখতে এইমাত্র থ্রিডি চশমার অর্ডার করলাম।’

বিশ্বকাপ দলে স্ট্যান্ডবাই তালিকায় থাকা সত্ত্বেও চোটে বাদ পড়া ধাওয়ান ও বিজয়ের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে তাকে নেওয়া হয়নি। ডাকা হয়েছে ঋষভ পান্ত ও ওয়ানডে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে। বিদ্রূপাত্মক টুইটের কারণেই নির্বাচকদের কাছে আরও একবার অবহেলিত হলেন কিনা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে এই উপেক্ষা মানতে না পেরে এবার অবসরই নিলেন ৫৫ ওয়ানডেতে ৪৭.০৫ গড়ে ১ হাজার ৬৯৪ রান করা রাইডু। তিন সেঞ্চুরি ও ১০ হাফসেঞ্চুরিতে সাজানো তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৫ সালে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১২৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন। অবশ্য তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার মাত্র ৬ ম্যাচের।


আরো সংবাদ



premium cement