০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪২৩১, ৬ শাবান ১৪৪৬
`

স্বপ্নের ফাইনালে চিটাগং কিংস

স্বপ্নের ফাইনালে চিটাগং কিংস - ছবি : সংগৃহীত

স্বপ্নের ফাইনালে চিটাগং কিংস। খুলনাকে আক্ষেপে পুড়িয়ে শিরোপা থেকে আর মাত্র একধাপ দূরে বন্দরনগরী দলটা। শেষ লড়াইয়ে শুক্রবার তাদের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে মিরপুরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইগার্স ও চিটাগং কিংস। যেখানে বেশ জমজমাট লড়াই হলেও শেষ পর্যন্ত ইনিংসের শেষ বলে এসে ২ উইকেটের জয় পায় চিটাগং।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৬৩ রান তুলে চিটাগং কিংস। জবাবে ১৭ ওভারে ১৩০ রানেই হারিয়ে ফেলে ৭ উইকেট। যখন চেপে ধরে হারের শঙ্কা, তখন দলকে উদ্ধার করেন আলিস ও আরাফাত সানি।

এইদিন শুরুতেই হোঁচট খায় খুলনা টাইগার্স। ৪২ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। তৃতীয় ওভারে দলীয় ১০ রানের মাথায় ফেরেন মেহেদী মিরাজ (২)। এক রান যোগ হতেই ফেরেন এলেক্স রস (০)।

এরপর মোহাম্মদ নাঈমকে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন আফিফ। তবে তাদের এই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। নাঈমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন খালেদ আহমেদ, করেন ২২ বলে ১৯ রান।

আফিফ হোসেনও তার ইনিংস বড় করতে পারেননি, ১৪ বলে ৮ রান করেন তিনি। শুরুর সেই চাপ সামাল দিয়ে দলকে রক্ষা করেন হেটমায়ার ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দু’জনে জুটিতে যোগ করেন ৫০ বলে ৭৩ রান।

দলীয় ১১৫ রানের মাথায় অঙ্কনকে থামান শরিফুল। শামীমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৪১ রান। তবে ঝড় তোলেন শিমরন হেটমায়ার। ১৯তম ওভারে থামেন ৩৩ বলে ৬৩ করে।

এরপর জেসন হোল্ডারের ৫ বলে ১২ ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ২ বলে ৫ রানে ১৬৩ পর্যন্ত পৌঁছায় খুলনা। বিনুরা ফার্নান্দো নেন ২ উইকেট। এছাড়া শরিফুল, আলিস ইসলাম ও খালেদ আহমেদ নেন একটি করে উইকেট।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই পারভেজ ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ককে সমান ৪ রানে হারায় চিটাগং। তবে এরপর ঘুরে দাড়ায় তারা। খাজা নাফে ও হোসেন তালাতের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪৮ বলে ৭০ রান যোগ করে চিটাগং।

তালাতকে আউট করে সেই জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। ফেরার আগে ২৫ বলে ৪০ করেন তালাত। দ্রুত ফেরেন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা শামিমও, ৭ বলে ৫ রানে থামতে হয় তাকে।

এরপর জোড়া আঘাত করেন মেহরাব হাসান। ১৫.১ ওভারে ফেরেন নাফে। ৪৬ বলে ৫৭ রান করেন নাফে।

মোহাম্মদ মিথুন থামেন ৭ রানে। দ্রুত ফেরেন খালেদ আহমেদও, কোনো রান আসেনি তার ব্যাটে। ৭ উইকেট হারায় চিটাগং।

ক্রিজে নেই কোনো জাত ব্যাটার। ছিলেন দু’ বোলার আরাফাত সানি ও আল ইসলাম। ফলে ম্যাচে জয়ের পাল্লা ভারী হয়ে যায় খুলনার। কিন্তু সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন আলিস ও আরাফাত সানি।

তাদের ১৫ বলে ২৬ রানের জুটি ফের ম্যাচে ফেরায় চিটাগংকে। ৪ বলে যখন প্রয়োজন ৯ রান, তখন দু’ রানের জন্য দৌড়াতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। স্ট্রাইকপ্রান্তে পা পিছলে পড়ে যান আলিস। মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

ক্রিজে নেমেই চার হাঁকান শরিফুল ইসলাম। তাতে শেষ দু’ বলে দরকার পড়ে মাত্র ৪ রানের। কিন্তু পঞ্চম বলে ব্যর্থ হন শরিফুল, ক্যাচ তুলে দেন হোল্ডারের হাতে। শেষ বলে সমীকরণ তখন ৪ রানের।

এমন উত্তেজনাময় মুহূর্তে ফের ব্যাট হাতে ফেরেন আলিস। কাভারে থাকা ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে তুলে মেরে আদায় করে নেন কাঙ্ক্ষিত চার রান। খুলনাকে কাঁদিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় চিটাগং।

আরাফাত সানি ১৩ বলে ১৮ আর আল ইসলাম ৭ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। হাসান মাহমুদ ও মেহরাব হাসান তিনটি ও নাসুম জোড়া উইকেট নিয়েও জেতাতে পারেননি দলকে।


আরো সংবাদ



premium cement