২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার দিয়ে এনসিএলের ফাইনালে ঢাকা মেট্রো

- ছবি : সংগৃহীত

প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুরের কাছে হেরে ফাইনালের পথ কঠিন হয়ে উঠে ঢাকা মেট্রোর। রংপুরের বিপক্ষে পায় আসরে প্রথম হারের স্বাদ। তবে আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার দিয়ে ফের ফিরেছে জয়ের ধারায়। নাইম শেখের দল নিশ্চিত করেছে ফাইনাল।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয় ঢাকা মেট্রো ও খুলনা বিভাগ। যেখানে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১১৯ রান করে মেট্রো। জবাবে ১৭.৪ ওভারে মাত্র ৮১ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। ঢাকা মেট্রোর জয় ৩৮ রানে।

মেট্রোর জয়ের নায়ক রাকিবুল হাসান। এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে কপোকাত হয়েছে এনামুল হক-নুরুল হাসানরা। দারুণ ছন্দে থাকা আজিজুল হাকিমকে ফিরিয়ে শুরু রাকিবুলের, অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ককে প্রথম ওভারেই ফেরান শূন্য রানে।

পরের বলেই গোল্ডেন ডাক উপহার দেন ইমরুল কায়েসকে। শূন্য রানে ২ উইকেট হারানোর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি খুলনা। পরের ওভারে আবার মোহাম্মদ মিথুন ১ রান করে রান আউট হলে মাত্র ২ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা।

চতুর্থ উইকেটের পতন হয় ২৩ রানে। এনামুল হক বিজয়কে ১৫ রানে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এরপর নাহিদ ইসলামকে (৬) ফেরান শহিদুল। তবে তখনো খুলনার আশা হয়ে মাঠে ছিলেন নুরুল হাসান সোহান।

১৮ বলে ২২ করা সোহানকে ফেরান আলিস আল ইসলাম। ৫০ রানে ৬ উইকেট হারায় খুলনা। এরপর পারভেজ জীবন ও মাসুম খান মিলে ২৪ রান যোগ করে আশা জাগিয়ে তুলেন। তবে সেই আশা দ্রুত ভেঙে দেন মোসাদ্দেক।

আসরে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে বল হাতে দারুণ করেন এই অলরাউন্ডার। ১৫.৫ ওভারে জীবনকে ফেরান ০ রানে। আর ১৭.৪ ওভারে খুলনার ইনিংসের শেষ উইকেট হিসেবে মাসুমকে (১৬) তুলে নেন তিনি।

সব মিলিয়ে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মোসাদ্দেক। আর রাকিবুলের মতো জোড়া উইকেট নেন মারুফ মৃধা।

এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাট করে নাইম শেখের ব্যাটে ভর করে ১১৯ রানে পৌঁছায় ঢাকা মেট্রো। নাইম করেন ৫৩ বলে ৫৭ রান। দ্বিতীয় সেরা ১৬ রান আসে শহিদুলের ব্যাটে। ১৪ করেন ইমরানুজ্জামান।

বাকিরা কেউ দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি। জোড়া উইকেট করে মাসুম খান, পারভেজ জীবন ও মেহেদী রানা।

উল্লেখ্য, আগামী ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ফাইনালে রংপুর বিভাগের মুখোমুখি হবে ঢাকা মেট্রো।


আরো সংবাদ



premium cement