২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আইপিএলে দল পেলেন না কোনো বাংলাদেশী, নেপথ্যে রাজনীতি?

আইপিএলে দল পেলেন না কোনো বাংলাদেশী, নেপথ্যে রাজনীতি? - ছবি : সংগৃহীত

এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ তথা আইপিএলে দল পেলেন না একজন বাংলাদেশীও। এবারের নিলামে মোট ১২ জন বাংলাদেশী নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো দল বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের জন্য বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখায়নি। এর নেপথ্যে কি কোনো অক্রিকেটিয় কারণ রয়েছে? সেই নিয়েও শুরু হয়েছে গুঞ্জন। এ নিয়ে কলকাতাভিত্তিক সংবাদ প্রতিদিন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এমনিতে আইপিএলের সাথে বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের সম্পর্ক অম্লমধুর। যেমন মাশরাফি মুর্তাজা, মোহম্মদ আশরাফুলের কেরিয়ার এক ম্যাচেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। আবার মুস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসানের মতো তারকারা যথেষ্ট সফল। তারা এর আগে আইপিএল জিতেছেন। তবে আইপিএলে একজন-দুজন করে হলেও বাংলাদেশী ক্রিকেটার সুযোগ পান। এবারের আইপিএলের নিলামে বাংলাদেশীদের মধ্যে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান (বেস প্রাইস ২ কোটি), সাকিব আল হাসান (বেস প্রাইস ১ কোটি), তাসকিন আহমেদরা (বেস প্রাইস ১ কোটি)। এছাড়াও লিটন দাস, তৌহিদ হৃদয়, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান শাকিব, মেহেদি হাসান, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানারা নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করেছেন। প্রত্যেকেরই মূল্য ৭৫ লাখ রুপি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ দল পাননি। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি বিন্দুমাত্র আগ্রহ না দেখানোয় একমাত্র মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়া বাকি কারো নামও নিলাম পর্বে ওঠেনি।

সংবাদ প্রতিদিন জানায় যে সহজ ক্রিকেটীয় বুদ্ধি বলে, বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের দল না পাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আসলে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে যারা প্রথম সারির তারকা, তাদের চেয়ে বেশি প্রতিভাধর ক্রিকেটার ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন। তাছাড়া যে দুজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার বরাবর আইপিএলে দল পেয়ে থাকেন সেই মুস্তাফিজুর এবং সাকিব আল হাসানও জীবনের সেরা সময় পেরিয়ে এসেছেন। এর বাইরে যে দু-একজনের নাম ভেসে আসছিল তারা হলেন নাহিদ রানা এবং রিশাদ হোসেন। এরাও দল পাননি। এদের দুজনের কারওরই আইপিএলের মতো মেগা টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তাছাড়া আরো একটা কারণ আছে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের না থাকার। বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের পুরো টুর্নামেন্টে পাওয়া যাবে কিনা, সেটা নিয়েও সংশয় রয়েছে। সুতরাং কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আর ঝুঁকি নিতে চায়নি।

সংবাদ প্রতিদিন জানায়, তবে এর বাইরে একটা অক্রিকেটীয় কারণও থাকতে পারে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক যে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে তারপর সে দেশে ভারত বিদ্বেষ মাথাচাড়া দিচ্ছে। সমানে এ দেশেও বাংলাদেশের প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশী ক্রিকেটার নিলে ফ্র্যাঞ্চাইজির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ঝুঁকি থাকত। তাছাড়া, কোনো ক্রিকেটারকে দলে না নেয়াটা ঘুরিয়ে বাংলাদেশকে প্রচ্ছন্ন বার্তাও হতে পারে। তবে সবটাই গুঞ্জন। আপাতত সাদা চোখে দেখে মনে হচ্ছে, ক্রিকেটীয় কারণটাই প্রাধান্য পেয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement