আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার হলেন পান্ত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৫১
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার হলেন ঋষভ পান্ত। অবশ্য ৩০ মিনিট আগেই এ রেকর্ড ছিল শ্রেয়স আইয়ারের।
ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটার পান্তকে ২৭ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। যা আইপিএল ইতিহাসে কোনো ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের রেকর্ড।
সৌদি আরবের জেদ্দায় চলমান আইপিএলের মেগা নিলামে সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড গড়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। তাকে ২৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় দলে নেয় পাঞ্জাব কিংস।
এবছর আইপিএল নিলামের জন্য প্রাথমিকভাবে নাম দিয়েছিলেন ১৫৭৪ জন ক্রিকেটার। যাদের মধ্য থেকে বাছাইয়ের পরে ৫৭৭ জন ক্রিকেটারের তালিকা তৈরি করেছে বিসিসিআই, যাদের এবছর মেগা নিলামে ভাগ্য নির্ধারণ করা হবে।
৫৭৭ জন ক্রিকেটারের মধ্যে আইসিসির সহযোগী দেশের ক্রিকেটার রয়েছেন তিনজন। দু’দিনের মেগা নিলামে দল খুঁজে পেতে পারেন সর্বাধিক ২০৪ জন ক্রিকেটার। এখন দেখার যে মেগা নিলামে কাদের ব্যাঙ্ক ব্যালান্স ফুলে-ফেঁপে ওঠে, আর কাদের হতাশ হতে হয়।
২৭ কোটির বিরাট অঙ্কে লখনউয়ে যোগ দিলেন পান্ত
২ কোটির ঋষভ পান্তের জন্য শুরুতে দর হাঁকে লখনউ ও আরসিবি। ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকায় হাল ছাড়ে আরসিবি। লখনউয়ের সাথে লড়াইয়ে যোগ দেয় হায়দরাবাদ। ২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় লখনউয়ে যোগ দিতে চলেছিলেন পান্ত। তবে দিল্লি আরটিএম প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। লখনউ ২৭ কোটি টাকা চূড়ান্ত দাম দেয় পান্তের জন্য। দিল্লি আরটিএম প্রয়োগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। ফলে ২৭ কোটি টাকায় লখনউয়ে যোগ দেন পান্ত। ফলে শ্রেয়সকে টপকে আইপিএলের ইতিহাসের সব থেকে দামি ক্রিকেটারে পরিণত হন ঋষভ পন্ত।
২৬ কোটি ৭৫ লাখে পাঞ্জাব কিংসে শ্রেয়স
২ কোটি বেস প্রাইসের শ্রেয়সের জন্য শুরুতেই দর হাঁকে কলকাতা নাইট রাইডার্স। লড়াইয়ে যোগ দেয় পাঞ্জাব কিংস। ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকায় রণে ভঙ্গ দেয় পাঞ্জাব। কলকাতার সাথে লড়াইয়ে যোগ দেয় দিল্লি। ১০ কোটিতে হাল ছাড়ে কলকাতা। লড়াইয়ে ফেরে পাঞ্জাব। তখন আইপিএলের ইতিহাসের সব থেকে দামি ক্রিকেটারে পরিণত হন শ্রেয়স। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২৫ কোটি টাকার গণ্ডি টপকান তিনি। শেষমেশ ২৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় পাঞ্জাব কিংস দলে নেয় শ্রেয়সকে।
আরটিএমে ১৮ কোটি দিয়ে আর্শদীপকে দলে ফেরাল পাঞ্জাব কিংস
প্রথমেই নিলামে তোলা হয় আর্শদীপ সিংকে। বেস প্রাইস ২ কোটি। চেন্নাই প্রথমে দর হাঁকে। লড়াইয়ে যোগ দেয় দিল্লি। ৭ কোটি ৫০ লাখে সিএসকে রণে ভঙ্গ দেয়। দিল্লির সাথে লড়াইয়ে যোগ দেয় গুজরাট। ৯ কোটি ৭৫ লক্ষয় দিল্লি রণে ভঙ্গ দেয়। গুজরাটের সাথে লড়াইয়ে যোগ দেয় আরসিবি। রাজস্থান ১১ কোটি থেকে লড়াইয়ে যোগ দেয়। লড়াই জারি রাখে গুজরাট। ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকায় হাল ছাড়ে গুজরাট। ১২ কোটি ৭৫ লাখ থেকে লড়াইয়ে নামে হায়দরাবাদ। ১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় আর্শদীপকে হায়দরাবাদ দলে নিয়েছিল প্রায়। তবে পাঞ্জাব আরটিএম প্রয়োগ করার কথা জানায়। হায়দরাবাদ ১৮ কোটি টাকা দাম দেয় আর্শদীপের জন্য। পাঞ্জাব ১৮ কোটিতেই আরটিএমে দলে ফেরায় আর্শদীপকে।
১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় বাটলারকে দলে নিল গুজরাট
২ কোটি বেস প্রাইসের জোস বাটলারের জন্য শুরুতে দর হাঁকে রাজস্থান ও গুজরাট। ৯ কোটি ৫০ লাখে হাল ছাড়ে রাজস্থান। গুজরাটের সাথে লড়াইয়ে যোগ দেয় পাঞ্জাব। ১৩ কোটি ৫০ লাখে হাল ছাড়ে পাঞ্জাব। গুজরাটের সাথে লড়াইয়ে নামে লখনউ। শেষমেশ ১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় বাটলারকে দলে নেয় গুজরাট টাইটানস।
১০ কোটিতে হায়দরাবাদ ছিনিয়ে নিল মুহাম্মদ শামিকে
২ কোটি বেস প্রাইসের মুহাম্মদ শামির জন্য শুরুতে দর হাঁকে কলকাতা ও চেন্নাই। ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকায় হাল ছাড়ে চেন্নাই। কলকাতার সাথে লড়াইয়ে যোগ দেয় লখনউ। ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় লখনউ হাল ছাড়লে লড়াইয়ে নামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ১০ কোটিতে হাল ছাড়ে কলকাতা। শেষমেশ ১০ কোটিতে হায়দরাবাদ দলে নেয় শামিকে। গুজরাট শামির জন্য আরটিএম ব্যবহার করেনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা