অপয়া শারজাহ এবার দু’হাত ভরে দিলো বাংলাদেশকে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১
অপয়া শারজাহ এবার দুই হাত ভরে দিলো বাংলাদেকে, তাকিয়েছে মুখ তুলে। বারবার হতাশা উপহার দেয়া এই মাঠ এবার ‘দোষ' ঘুচিয়েছে। দূর করেছে সাফল্যের বন্ধ্যাত্ব। ভেঙেছে হারের বৃত্ত। একই সাথে এখানে ঘটেছে আরো কিছু অভূতপূর্ব ঘটনা।
টানা নয় হারের পর যখন এক মাঠে টানা সবচেয়ে বেশি হারের লজ্জার রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে দল। তখনই মিললো মুক্তি। শনিবার আফগানদের হারিয়ে বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো জয়ের মুখ দেখলো শারজার এই মাঠে।
শনিবার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। যেখানে টাইগাররা তুলে নেয় ৬৮ রানের জয়। আগে ব্যাট করে ২৫২ রান তুলার পর স্বাগতিকদের আটকে দেয় ১৮৪ রানে।
যা শারজায় বাংলাদেশের প্রথম কোনো জয়। এর আগে তিন ফরম্যাটে ৯টি ম্যাচ খেলেও টাইগাররা ছিল জয় শূন্য। এই ম্যাচে হেরে গেলে হতো ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ। গড়তো একই মাঠে টানা হারের বিশ্বরেকর্ড।
এদিকে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে ঘটেছে আরো বেশকিছু অভূতপূর্ব ঘটনা। যার মাঝে সবচেয়ে বেশি আলোচিত সাকিব-তামিম-মুশফিককে ছাড়া ওয়ানডে খেলা।
এই তিন ক্রিকেটারের কেউ নেই ওয়ানডে দলের একাদশে। এমন ঘটনা তাদের অভিষেকের পর কখনোই ঘটেনি আগে। সময়ের হিসাবে ১৮ বছরেরও বেশি সময় পর এই তিনজনকে ছাড়া খেলতে নামে বাংলাদেশ।
২০০৬ সালের ৪ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের টানা ৩১০টি ওয়ানডে ম্যাচে তাদের কেউ না কেউ দলে ছিলেনই। ১৮০টি ম্যাচ তিনজন একই সাথে ছিলেন একাদশে। শুধু তার ব্যত্যয় ঘটলো এবার। অভিজ্ঞ এই তিন সেনানী ছাড়া গতকাল খেললো বাংলাদেশ।
সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল তো আগে থেকেই ছিলেন না দলে। আর মুশফিকুর রহিম দলে থাকলেও প্রথম ওয়ানডেতে কিপিংয়ের সময় হাতের আঙুল ভেঙে যাওয়ায় এই সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি।
এদিকে বাংলাদেশের স্মরণীয় এই জয়ে ব্যাট হাতে দারুণ ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ১১৯ বলে ৭৬ রান করেন তিনি। তাতে শারজায় প্রায় তিন যুগের ‘ফিফটি’ খরা কাটলো বাংলাদেশের।
শান্তর এই ফিফটি, শারজায় বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয়। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে শারজাহর মাঠে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন সাবেক ডান-হাতি ব্যাটার আজহার হোসেন শান্টু। ৩৪ বছর পর এসে সেই রেকর্ড পুনরাবৃত্তি করলেন শান্ত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা