২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

হার দিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর শুরু পাকিস্তানের

- ছবি : সংগৃহীত

প্রত্যাবর্তন রাঙাতে পারল না পাকিস্তান। প্রায় এক বছর পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরলেও প্রথম ম্যাচেই দেখেছে হার। ছোট পুঁজি নিয়ে যদিও জাগিয়ে তুলেছিল জয়ের সম্ভাবনা, তবে প্যাট কামিন্স পূরণ হতে দেননি সেই স্বাদ।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সোমবার মেলবোর্নে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। তুমুল লড়াই হলেও শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটের জয় পেয়েছে অজিরা। তাতে সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ তে।

এদিন টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্যাট কামিন্স আর মিচেল স্টার্কের বোলিং তোপে ৪৬.৪ ওভারে ২০৩ রান তুলে পাকিস্তান। ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৮৫ রানে ৮ উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত ৩৩.৩ ওভারে জয় পায় অজিরা।

২০৪ রানের ছোট লক্ষ্য। আধুনিক ক্রিকেটে খুবই সাধারণ। হেসেখেলেই জেতার কথা অস্ট্রেলিয়ার। তবে তা হয়নি, ১৮৫ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে ৮ উইকেট। এমতাবস্থায় পাকিস্তান স্বপ্ন জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ফের।

যদিও অজি অধিনায়ক কামিন্সের দৃঢ়তায় সেই স্বপ্ন সত্যি হয়নি। তার ৩১ বলে ৩২ রানে অপরাজিত ইনিংসে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় অজিরা। তাতে হার দিয়ে শুরু হলো অধিনায়ক হিসেবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের যাত্রা।

ভারত বিশ্বকাপের পর প্রথমবার ওয়ানডে খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান। প্রায় এক বছর পর ওয়ানডে খেলতে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি পাক ব্যাটররা। সাইম আইয়ুব (১) ও আব্দুল্লাহ শফিককে হারায় ১২ রানে।

বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে খানিকটা দিশা পেলেও ইনিংস বড় হয়নি তাদের। বাবর ৩৭ ও রিজওয়ান ফেরেন ৪৪ রানে। ১০১ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। মাঝে কামরান ৫ ও সালমান ফেরেন ১২ রানে।

পাকিস্তান দুই শ' পর্যন্ত পৌঁছায় নাসিম শাহে ভর করে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হবার আগে এই পেসার ৩৯ বলে করেন ৪০ রান। বাকি লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররাও দিয়েছেন সঙ্গ, ইমরান নিয়াজি ২২ ও শাহিন আফ্রিদি করেন ২৪ রান। স্টার্ক ও কামিন্স নেন ২ উইকেট।

রান তাড়ায় নেমে ২৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ম্যাথিউ শর্ট (১) ও জ্যাক ফ্র্যাজার-ম্যাগার্ককে (১৬) হারায় স্বাগতিকরা। তবে তাদের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন স্টিভ স্মিথ ও জশ ইংলিস। ১৫ ওভারে দলের সংগ্রহ পাড়ি দেয় শতরান।

তাতে আভাস মিলছিল দাপটের সাথে বড় জয়ের কিন্তু। কিন্তু ১৭তম ওভারে রউফের বলে স্মিথ আর ২০তম ওভারে শাহিনের বলে ইংলিসের বিদায়ের পরই ম্যাচের চিত্র বদলে যায়। স্মিথ ৪৬ বলে ৪৪ রান ও ইংলিস ৪২ বলে ৪৯ রান করে আউট হন।

হাল ধরতে ব্যর্থ হন মার্নাস লাবুশেন (১৬), অ্যারন হার্ডি (১০) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১৩)। একের পর এক অজি ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল পাকিস্তানও। কিন্তু নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে কামিন্স সে স্বপ্ন ধুলোয় মিশিয়ে দেন।

কামিন্স যখন ব্যাট করতে নামেন, অস্ট্রেলিয়ার রান ৭ উইকেটে ১৫৫। ইনিংসের অর্ধেক ওভার (২৪.৫) বাকি থাকলেও শেষ তিন উইকেটে তখনো দরকার ৪৯ রান। তবে অষ্টম উইকেটে শন এবটের (১৩) সাথে ৩০ ও নবম উইকেটে স্টার্ককে নিয়ে নিশ্চিত করেন জয়।


আরো সংবাদ



premium cement
বৈষম্যহীন দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহ্বান টিআইবির সংস্কৃতি ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসা জাগিয়ে তোলার বৈপ্লবিক উপাদান : রাহাত ফতেহ আলী খান অবসরে যাওয়া বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন পি কে হালদার ৪৪তম বিসিএস-এর মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ স্ত্রীসহ বিজিবির সাবেক ডিজি মইনুলকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য যা ভালো তাই করবে বাংলাদেশ : মুখপাত্র প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের নতুন ডিজি আবু সুফিয়ান রেমিট্যান্সের ডলার সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা দরে কেনার নির্দেশ পেকুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু ছাত্রশিবির আয়োজিত সায়েন্স ফেস্ট ২০২৪ এর রেজিস্ট্রেশনের সময় শেষ আগামীকাল

সকল