১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

লজ্জার হারে সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের

লজ্জার হারে সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের - ছবি : সংগৃহীত

জয়ের জন্য দিল্লিতে ইতিহাস গড়তে হতো বাংলাদেশকে। করতে হতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের নতুন রেকর্ড। তবে তার কিছুই করতে পারেনি টাইগাররা। লজ্জার হারে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই হাতছাড়া হয়েছে সিরিজও।

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বুধবার আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২২১ রান তুলে ভারত। অরুণ জেটলিতে যা সর্বোচ্চ সংগ্রহ। অথচ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পুঁজিই হলো ২১৫। ফলে জয়ের জন্য দিল্লিতে ইতিহাস গড়তে হতো বাংলাদেশকে।

তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো টাইগাররা যেতে পারেনি তার ধারে-কাছেও। রান পঞ্চাশ পেরোনোর আগেই ৪ উইকেট হারানো দলটা শেষ পর্যন্ত তুলতে পারে ৯ উইকেটে ১৩৫ রান। বাংলাদেশের হার ৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে।

লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে ২.৩ ওভারেই ভাঙে ইনিংসের উদ্বোধনী জুটি। ১২ বলে ১৬ রান করে আর্শ্বদীপের শিকার হয়ে ফেরেন পারভেজ ইমন। যদিও নাজমুল হোসেন শান্ত আর লিটন দাস মিলে এরপর খানিকটা প্রতিরোধের চেষ্টা চালান।

তবে ৪.৩ ওভারে শেষ হয় তাদের চেষ্টা। ৭ বলে ১১ রানে ফেরেন শান্ত। পরের ওভারের প্রথম বলেই ফের উইকেট হারায় টাইগাররা। ১১ বলে ১৪ রান করা লিটন দাসকে ফেরান বরুণ চক্রবর্তী।

পাওয়ার প্লের ধাক্কা কাটিয়ে উঠা যায়নি পরের ওভারেও। এবার তাওহীদ হৃদয় ফেরেন ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দিয়ে। ৬ বলে মাত্র ২ রানে অভিষেক শর্মার শিকার এই ব্যাটার। ৪৬ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সেখান থেকে দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী মিরাজ। দু'জনের ৩৪ রানের জুটিতে দলীয় সংগ্রহ ৮০ রানে পৌঁছায় আর কোনো উইকেট না হারিয়ে। তবে এরপর ফেরেন মিরাজ, ১৬ রানেই শেষ তার দৌড়।

জাকের আলি ১, রিশাদ হোসেন ৯, তানজিম সাকিব ৮ রানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহকে রেখেই। মাহমুদউল্লাহর ইনিংস শেষ হয় শেষ ওভারের প্রথম বলে। ৩৯ বলে ৪১ রান করেন তিনি।

এর আগে বল হাতে পাওয়ার প্লেতে ভারতকে চেপে ধরে দারুণ কিছুর আশা দেখাচ্ছিল বাংলাদেশ। ৫.৩ ওভারে ৪১ রানে তুলে নিয়েছিল ৩ উইকেট। তবে সময়ের সাথে সাথে সেই চাপের পাহাড় বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিয়েছে স্বাগতিকরা।

বল হাতে এদিন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেটের দেখা পায় টাইগাররা। স্যাঞ্জু স্যামসনকে ফিরিয়ে ১৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। ৭ বলে ১০ রানে ফেরেন স্যাঞ্জু।

পরের ওভারেই তানজিম সাকিবের আঘাত। অভিষেক শর্মাকে ফেরান ১১ বলে ১৫ রানে। তিনে নামা অধিনায়ক সূর্য কুমার যাদবও হাল ধরতে পারেননি। থিতু হয়েও মোস্তাফিজের শিকার বনেন তিনি। ১০ বলে ৮ রানেই থামে তার ইনিংস।

৫.৩ ওভারে ৪১ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারতকে অবশ্য এরপর আর চেপে ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। নিতিশ কুমার ও রিংকু সিং মিলে ধরেন হাল। রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে সমৃদ্ধ করেন ইনিংস। জুটিতে আসে ৪৯ বলে ১০৮ রান।

২৭ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে নিতিশ যেন আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেন। তার বিদায়েই ১৩.৩ ওভারে ভাঙে জুটি। ৩৪ বলে ৭৪ রান করে মোস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার হন। তবে রিংকু সিং ব্যাট চালাতে থাকেন তার মতোই। এবার হার্দিকের সাথে বাঁধেন জুটি।

রিংকু ফিফটি পূরণ করেন আরো দ্রুত, ২৬ বলে। তবে এরপর আর ইনিংস বেশিদূর টানতে পারেননি। ২৯ বলে ৫৩ করে তাসকিনের শিকার হন তিনি। হার্দিক ফেরেন ১৯তম ওভারের শেষ বলে, তানজিম সাকিবের বলে। ১৯ বল থেকে ৩২ রান করেন এই ব্যাটার।

শেষ ওভার করতে আসেন রিশাদ হোসেন। প্রথম তিন ওভারে ৪৮ রান দেয়া রিশাদ এই ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টা উইকেট। তাতেও অবশ্য খুব একটা সমস্যা হয়নি ভারতের। ৯ উইকেট হারালেও সংগ্রহ পৌঁছে যায় ২২১ রানে।


আরো সংবাদ



premium cement