ইলন মাস্ক ও জেফ বেজোসের মধ্যে প্রতিযোগিতা
- আহমেদ ইফতেখার
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
মহাকাশ নিয়ে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। বর্তমানে মার্কিন উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স মহাকাশ প্রতিযোগিতায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। গত দুই বছরে শতাধিক মহাকাশযান উৎক্ষেপণসহ একটি সুবিশাল ইন্টারনেটনির্ভর স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন ইলন মাস্ক। অন্যদিকে আরেক মার্কিন উদ্যোক্তা ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন ও অ্যামাজন মহাকাশ জয়ের দৌড় প্রতিযোগিতায় নিজেদের উপস্থিতির জানান দিচ্ছে। নতুন রকেট ও স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক নিয়ে স্পেসএক্সের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করছেন জেফ বেজোস। মহাকাশ জয়ের জন্য ইলন মাস্ক ও জেফ বেজোসের মধ্যে লড়াই থাকলেও দুইজনেই মহাকাশে মানুষের উপস্থিতি নিয়ে বেশ আশাবাদী।
অ্যামাজনের কুইপার কর্মসূচি মূলত স্টারলিংকের প্রতিযোগী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২৫ সাল নাগাদ তিন হাজার ২৩২টি উপগ্রহের স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রজেক্ট কুইপার বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সেবা দিতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অ্যামাজন এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
২০০২ সালে স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠা করেন ইলন মাস্ক। পুনর্ব্যবহারযোগ্য ফ্যালকন ৯ রকেট প্রযুক্তিসহ উৎক্ষেপণ খরচ ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনার জন্য স্পেসএক্স বেশ চমক তৈরি করেছে। ২০২৩ সালে স্পেসএক্স ১৩০টির বেশি মহাকাশযান উড্ডয়ন করেছে। স্পেসএক্সের স্টারলিংক স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক ২০১৮ সালে চালু করা হয়। স্টারলিংক প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা দিতে পারে। অন্যদিকে জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেশ ধীরগতিতে কাজ করতে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি মূলত মহাকাশ পর্যটনের ওপর গুরুত্ব দিলেও স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের সাথে প্রতিযোগিতা করতে নিজেদের নিউ গ্লেন রকেট তৈরিতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা