২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ মাঘ ১৪৩১, ২২ রজব ১৪৪৬
`

বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমাতে বাংলাদেশে নতুন উদ্যোগ

- ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমিয়ে আনার লক্ষ্যে নতুন একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

এ প্রকল্পের আওতায় হাওর অঞ্চলে এক হাজার কংক্রিটের শেল্টার নির্মাণ করা হবে। এসব শেল্টারে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্রও স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

সরকারি হিসাবে বাংলাদেশ প্রতিবছর বজ্রপাতে ১৫০ থেকে ২০০ মানুষ মারা যায়, যাদের বেশিরভাগই হচ্ছে কৃষক।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছে, বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য হাওর অঞ্চলে কংক্রিটের শেল্টার হোম নির্মাণের পাশাপাশি আগাম সতর্কতা দেবার জন্য ৭২৩টি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

আগাম সতর্কতা কেন্দ্র থেকে স্থানীয় অধিবাসীদের ৪০ মিনিট আগে মোবাইলে বার্তা পাঠানো হবে। যাতে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে পারে।

বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমানোর জন্য এর আগেও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল।
২০১৭ সালে ১০ লাখ তালগাছ লাগানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল সরকার। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।

প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, এবার হাওর অঞ্চলে প্রতি কিলোমিটারে একটি করে কংক্রিট শেল্টার নির্মাণ করা হবে। এক কিলোমিটার পর পর শেল্টার নির্মাণ হলে আগাম সতর্কতা পাওয়া মাত্র মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে পারবে। কারণ, এক কিলোমিটার পথ হেঁটে আসতে ২০ মিনিট সময় লাগে। সেজন্য ৪০ মিনিট আগে সতর্কবার্তা দেয়া হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বজ্রপাত-নিরোধক যন্ত্র ব্যবহার করে কংক্রিট শেল্টার নির্মাণ একটি ভালো উদ্যোগ। তবে এজন্য যথাযথ ম্যাপিং করতে হবে।

শুধু যেখানে সেখানে শেল্টার নির্মাণ করলেই হবে না বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ. এইচ. এম. আসাদুল হক।

‘যেসব শেল্টার নির্মাণ করা হবে সেগুলোর ভালো ব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনা থাকতে হবে। তা না হলে পরবর্তীতে দেখা যাবে এসব শেল্টার উল্টো বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে,’ বলেন অধ্যাপক হক।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যালোচনা করে দেখা গেছে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় হাওর অঞ্চলে।

মানুষকে আগাম সতর্কতা দেবার জন্য একটি অ্যাপ বানানো হবে বলে তিনি জানান।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কার্যকরি আগাম সতর্কতার ব্যবস্থা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আসাদুল হক। এর মাধ্যমে মৃত্যু ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।

এ প্রকল্পের জন্য প্রথমে ৩০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এর সার সংক্ষেপ শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে এবং তিনি অনুমোদন করলে বাস্তবায়ন শুরু হবে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
দেশের সুবিধা বঞ্চিত শিশুকে আমরা সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলব : দেলাওয়ার হোসেন আ’লীগকে রাজনৈতিক ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চায় বিএনপি : হাসনাত আব্দুল্লাহ মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের সাহায্য করছে যে ‘তরমুজ‘ গুপ্তচররা পটুয়াখালীতে আজহারীর মাহফিল ২৫ জানুয়ারি, ব্যাপক প্রস্তুতি বনশ্রীর স্কুল অফ দ্য নেশনে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব সিরাজগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থী পূর্ণপ্যানেল জয়ী হারানো সম্মান, চাকরি ও ক্ষতিপূরণ চান মুক্তিপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যরা বিএনপি মহাসচিবের দাবি আরেকটা ১/১১ এর ইঙ্গিত : উপদেষ্টা নাহিদ ভোরের কাগজ খুলে দেয়ার দাবিতে কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি মালয়েশিয়ায় ৭১ বাংলাদেশীসহ ১৭৬ অভিবাসী আটক রাশিয়ার সাথে নৌঘাঁটি চুক্তি বাতিল করল সিরিয়ার নতুন সরকার

সকল