ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় খুলনায় ৮১৪ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ মে ২০২১, ২২:০২
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে ও জান-মালের অপূরণীয় ক্ষতি প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন। জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীকে বাঁচাতে প্রস্তুত করা হচ্ছে গতবারের ৮১৪টির অধিক আশ্রয়কেন্দ্র। প্রস্তুত রয়েছে ১১৪টি মেডিক্যাল টিম।
খুলনা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্য, এনজিও, সিপিপি, ফায়ার সার্ভিস সবাইকে যার যার মতো প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জুম প্রযুক্তির মাধ্যমে সভায় যুক্ত হয়েছিলেন, তাদেরও নির্দেশনা দেয়া হয়।
পরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো: ইসমাইল হোসেনের সাথে সভা করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
শনিবার পর্যন্ত ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি স্কুলগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। মহামারী কোভিড-১৯ এর কারণে বেশি সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে জেলা প্রশাসন।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার বলেন, শুক্রবার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছিল। গত বছর ৮১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছিল; এবার আরো বেশি সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হবে। কোভিড-১৯ এর কারণে সংক্রমণ রোধে আশ্রয়কেন্দ্রের সক্ষমতার অর্ধেক মানুষকে একটি কেন্দ্রে রাখা হবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলায় ৫টি ও প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে মোট ১১৪টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা চিকিৎসা সেবা দেবেন। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে শুষ্ক খাবার অর্থাৎ চাল-ডাল প্রস্তত রয়েছে-সরকারি নিদের্শনা মোতাবেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
আতঙ্ক নয়, উপকূলবাসীকে সজাগ ও সতর্কতার মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা