২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

শিক্ষাভবনে দুই গ্রুপের উত্তেজনা ও হাতাহাতি

-

দাবি আদায়কে কেন্দ্র করে শিক্ষা ভবনে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দাবি আদায়ের সেøাগান লিখিত ব্যানার নিয়ে শিক্ষাভবনের ভেতরে অবস্থান নেয় দুই পক্ষ। এর পক্ষের দাবির বিষয়ে ব্যানারে লেখা ছিল এক দফা এক দাবি, এন্ট্রিপদ নবম গ্রেডে ধরে চারস্তরীয় একাডেমি পদ সোপান চাই। অন্য দিকে বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে আরেক দল নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য অবস্থান নেয়। পরে তাদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা পড়ানোর চেয়ে শিক্ষা অফিসার হতে বেশি মনোযোগী। দেশের বেশির ভাগ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পদ তাদের দখলে। এবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদ দখলেও মরিয়া তারা। অথচ উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে চাকরি নিয়ে একই পদে অবসরে যাচ্ছেন অনেকেই। তাদের পদোন্নতি হচ্ছে না। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে তাই এবার মাঠে নেমেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা। তারা বলছেন, শূন্য হওয়া জেলা শিক্ষা অফিসার পদে অধিকাংশ সময় সুযোগ পান শিক্ষকরা। দীর্ঘদিন ধরে এ বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আন্দোলন করছি। সরকার সেটার সমাধান না করে নতুন করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে মাধ্যমিক শিক্ষকদের বসানোর সুযোগ করে দিয়েছে। নতুন বাংলাদেশে এই বৈষম্য আমরা মানি না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন ঠেকাতে এবার একাট্টা হয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন শিক্ষকদের চার সংগঠন। তাদের দাবি, উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা নিয়োগ পেতে চান। এমনটা হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের পদোন্নতি নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার হওয়ার পথ একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো: লিয়াকত আলী জানান, আমরা ৩১ বছর ধরে বৈষম্যের শিকার। প্রায় সব জেলা অফিসার পদে শিক্ষকরা বসে আছেন। তারা ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তা হয়ে ৬ষ্ঠ গ্রেডের বেতনে বসে আছেন। অথচ আমাদের পদোন্নতি দেয় না। তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় মোর্চা বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ।

 


আরো সংবাদ



premium cement