বায়রা সদস্যদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি একাংশের নেতাদের
মালয়েশিয়ার দু’টি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮, আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭
সরকারের সংস্কারের অংশ হিসেবে বিদেশে জনশক্তি খাতকে সম্পূর্ণ সিন্ডিকেটমুক্ত করা, একই সাথে অনিয়ম, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপিসহ যাদের নাম এসেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বায়রার কার্য নির্বাহী কমিটির একাংশের নেতারা।
গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বায়রা অফিসে হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবিতে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বায়রার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ উল ইসলামের লিখিত বক্তব্য জানানে হয়, বায়রা মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী ও কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটের সদস্যরা গত ১২ সেপ্টেম্বর কার্যনির্বাহী কমিটির সভা চলার সময় হট্টগোল ও হামলা করে। এতে বায়রার সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা রেহেনা পারভীনসহ অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন তারা।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকেই বায়রার বর্তমান সভাপতি যুবলীগ নেতা আবুল বাসার পলাতক রয়েছেন বলে জানান মালয়েশিয়া সিন্ডিকেটে কাজ করা বিপক্ষের সদস্যরা। তার অনুপস্থিতিতে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াজ উল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
উল্লখ্য, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে দু’টি পৃথক সিন্ডিকেট গঠন করা হয়েছিল। নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রুহুল আমিন স্বপন। তার নিয়ন্ত্রণে ছিল ৬৯টি রিক্রুটিং এজেন্সি। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইউনিক গ্রুপের কর্ণধার নূর আলী। তার নিয়ন্ত্রণে ছিল ৩১টি এজেন্সি। এর বাইরে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদ ও সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহিনের নেতৃত্বে ছিল একটি এজেন্সি। সেটি হচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বোয়েসেল। সব মিলিয়ে মোট ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল বলে রয়েছে।
ইতোমধ্য সিন্ডিকেটের সদস্যসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি মানবপাচার আইনে পল্টন থানায় মামলা হয়েছে।