১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

পলাশে হামলা ভাঙচুরের পর জনতা জুটমিল বন্ধ

কর্মহীন ৭ হাজার শ্রমিক
-

নরসিংদীর পলাশে ১৪ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষুব্ধ একাংশ শ্রমিকদের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের পর জনতা জুটমিল লি. অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মিল কর্র্তৃৃপক্ষ। শনিবার সকালে মিলের প্রধান ফটকে বন্ধ ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে শ্রমিকদের তা জানানো হয়। মিলটিতে সাত হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিল, পুনরায় চালু করার সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না করে বন্ধ ঘোষণায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বন্ধ ঘোষণার পরে মিলটির কলোনি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বসবাসরত হাজারো শ্রমিক।
জনতা জুট মিলস লি. এর পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার মো: মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, জনতা জুট মিলস লি. এ গত ৩ সেপ্টেম্বর-৬ সেপ্টেম্বর মধ্যবর্তী বিভিন্ন সময়ে কিছুসংখ্যক দুষ্কৃতকারী প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে দাঙ্গাহাঙ্গামা, বেআইনি ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ভাঙচুরে লিপ্ত ছিল। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সব উৎপাদন কার্যক্রম আজ ৭ সেপ্টেম্বর এ শিফট হতে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মিল বন্ধ সময়ের দীর্ঘসূত্রতার প্রেক্ষিতে শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালা মোতাবেক উপযুক্ত শ্রমিকগণ ধারা ১২(৬), ১২(৭) বা ১২(৮) অনুসারে মজুরি প্রাপ্য হবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব শ্রমিককে জনতা জুট মিলস লি. এর কর্মক্ষেত্রে যোগদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পলাশের বাগপাড়া গ্রামে অবস্থিত আকিজ-বশির গ্রুপের মালিকানাধীন জনতা জুটমিলস লিমিটেডে ১৪ দফা দাবিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে মিলের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। হামলায় মিলের প্রশাসনিক ভবন, লেবার অফিস, নিরাপত্তা অফিস, গেস্ট হাউজসহ বিভিন্ন অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে মিলের ছয় নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়। খবর পেয়ে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মিলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement