১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

দুর্নীতির মামলা থেকে খন্দকার মোশাররফকে অব্যাহতি

মামলা খারিজের পর আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন : নয়া দিগন্ত -

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মানি লন্ডারিং আইনের মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১-এর বিচারক আবুল কাশেম এ রায় দেন।
ড. মোশাররফের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রায় হ ঘোষণার সময় ড. খন্দকার মোশাররফ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ২০১২ সালে একটি আইন হলো যে, বিদেশে যাদের সম্পদ আছে, সেটাও ঘোষণা দিতে হবে। ২০১৩ সালের আইন অনুযায়ী বিদেশে থাকা আমার এবং আমার স্ত্রীর সম্পদ ঘোষণা করি। এ ঘোষণার মাধ্যমে ট্যাক্স কর্মকর্তারা আমার থেকে ট্যাক্স নেয়। কিন্তু পরে সে ঘোষণার অঙ্ক ধরেই আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কোনো টাকা বিদেশে পাচার করেছি, এমন কিছু তারা প্রমাণ করতে পারেননি। আইনজীবীরা স্বীকার করেছেন যে, আমার বিরুদ্ধে করা এ মামলা কেবলই রাজনৈতিক একটি প্রতিহিংসা। এ মামলার কারণে আমাকে জেলে যেতে হয়েছে, নির্যাতিত হতে হয়েছে। বিশেষ আদালতের বিচারক আজ সৎ সাহসের সাথে সঠিক রায় দিয়েছেন, এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।
২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদি হয়ে রমনা মডেল থানায় মোশাররফের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৪ আগস্ট দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছর ২৮ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় বিচার চলাকালে ৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement