০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

দেশপ্রেমী জনগণ গোলামিতুল্য রেল করিডোর চুক্তি রুখে দেবে : মুসলিম লীগ

-

ক্ষমতার লোভে স্বাধীনতা বিকিয়ে দেয়া লেন্দুপ দর্জির করুণ পরিণতি এক শিক্ষণীয় ইতিহাস। মসনদের মোহে পড়েই মীর জাফর-ঘষেটি বেগমরা দেশ-জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে বাংলার স্বাধীনতা ১৯০ বছরের জন্য বেনিয়া ইংরেজদের হাতে তুলে দিয়েছিল। হায়দরাবাদ ট্র্যাজেডিতে সাঈদ আহমদ এল এদরুস নব্য মীর জাফরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেও মীরমদনের ভূমিকায় কাসেম রিজভীর আগমন ঠিকই ঘটেছিল। ইতিহাস সাক্ষী, যুগে যুগে ক্ষমতার মোহে ক্ষমতালোভী বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর-ঘষেটি বেগম-লেন্দুপ দর্জিদের যেমন আবির্ভাব ঘটে তেমনি দেশপ্রেমের মহান আদর্শে উজ্জীবিত মোহনলাল-কাসেম রিজভীরাও দেশ রক্ষায় রুখে দাঁড়ায়। লেন্দুপ দর্জিরা থাকে ঘৃণার পাত্র হয়ে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে আর সিরাজউদ্দৌলা-মীর মদনরা থাকে দেশপ্রেমের অনুকরণীয় আদর্শ হিসাবে। ইতিহাস বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করে না।
গতকাল রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদের সেমিনার হলে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে ‘ভারতকে রেল ট্রানজিট এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা সঙ্কট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আলোচনায় অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, সার্ক বিষয়ক বিশ্লেষক অ্যাড. মহসীন রশিদ, এবি পার্টির মহাসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক (অব:) কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান, এফডিপি সভাপতি ড. এ আর খান, জাগপা সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, অ্যাড. আফতাব হোসেন মোল্লা ও সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, অতিরিক্ত মহাসচিব কাজী এ এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ রানা, শেখ এ সবুর, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশে লেন্দুপ দর্জি-মীর জাফরের উত্তরসূরিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যে কোনো মূল্যে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার বিনিময়ে তারা দেশ ও জনগণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতেও কুণ্ঠাবোধ করছে না। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা সব কিছু হরণ করে গোটা দেশকে ইতোমধ্যে আওয়ামী পিঞ্জরে পরিণত করা হয়েছে। পিঞ্জর পূর্ণ জনগণকে এখন দিল্লির গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ করতে চাইছে। তারা ট্রানজিটের নাম করে জনগণকে ভ্রান্তিতে রেখে ভারতকে রেল করিডোর দিতে চায়। রেল করিডোর দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে চরমভাবে ক্ষুণœ করে ধাপে ধাপে দেশের জনগণকে ভারতের চিরস্থায়ী সেবাদাসে পরিণত করবে। তিতুমীর-টিপু সুলতান আর মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠদের মহান আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেম আদর্শে উজ্জীবিত জনগণ যে কোনো মূল্যে গোলামিতুল্য এ রেল করিডোর চুক্তি রুখে দেবে। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement