নীতি সহায়তা পেলে স্বর্ণশিল্প খাত বিলিয়ন ডলার আনবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
নীতি সহায়তা পেলে তৈরী পোশাক খাতের মতো স্বর্ণশিল্প খাতও একদিন বিলিয়ন ডলার আনবে বলে মনে করেন স্বর্ণশিল্প খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, এই শিল্প যদি নীতি সহায়তা পায় তাহলে আরো অনেক এগিয়ে যাবে। গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) পুষ্পগুচ্ছ হলে প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ (আইজেএমইবি)-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিন হেলালী, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ। উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কেএনসি সার্ভিসেস’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রান্তি নাগভেকার, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মুখপাত্র ও সাবেক সভাপতি দিলীপ কুমার রায়, সহ-সভাপতি সুমিত ঘোষ অপু।
এর আগে ফিতা কেটে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, স্বর্ণ বিক্রয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ভ্যাট ৫ শতাংশের নিচে আছে। আমি এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করব, যাতে স্বর্ণ বিক্রয়ে ৩ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করে দেয়।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এবং নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, আমি অপেক্ষায় আছি সরকার কবে এ খাতে প্রণোদনা দেবে। আমি দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশের যে প্রতিভাশালী কারিগর রয়েছে, তারা যদি একটু প্রশিক্ষণ পায় তাহলে যেকোনো খাত থেকে স্বর্ণ খাত অনেক বেশি লাভজনক খাত হবে। প্রধানমন্ত্রী সব সময় নতুন নতুন পণ্য আনতে বলছেন। স্বর্ণ হলো সেই পণ্য, যা সব খাতকে ছাড়িয়ে যাবার সক্ষমতা রাখতে পারে। বাজুসের নেতৃত্ব বাংলাদেশকে একটা স্বর্ণের নতুন সোর্স হিসেবে পরিচিত করতে পারব।
বাজুসের মুখপাত্র ও সাবেক সভাপতি ডা: দিলীপ কুমার রায় বলেন, বাংলাদেশে এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার হাতে তৈরি করলে ৮ থেকে ৯ শতাংশ নষ্ট হয়। আর মেশিনে তৈরি করলে ২ থেকে ৩ শতাংশ নষ্ট হবে। এই যে ৭ শতাংশের পার্থক্য, সেটা আর থাকবে না। এ জন্য আমদের যে ছোট বড় কারখানা রয়েছে, সেগুলো আমাদের অলঙ্কার দেশেই তৈরি করবে এবং চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করবে।
দেশে নতুন জুয়েলারি কারখানা স্থাপন ও পুরনো কারখানাগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন এবং রফতানিমুখী খাত হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের ঐতিহ্যবাহী ও পণ্যভিত্তিক সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কেএনসি সার্ভিসেস যৌথভাবে জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। এ প্রদর্শনীর প্রতিপাদ্য ‘গহনায় হোক প্রযুক্তির ছোঁয়া’।
এ প্রদর্শনী চলবে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের প্রায় ১০টি দেশের প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান।
প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে ভারতের ৮টি প্রতিষ্ঠান তিশ্য সিএনসি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, নিও ইনস্ট্রুমেন্ট, মাইক্রো ম্যাক ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড, অনন্ত জুয়েলস অ্যান্ড টেকনোলজি, সোলাংকি মেশিনারিজ ওয়ার্কস, ইরা করপোরেশন, কোয়ান্টাম ইকুইপমেন্ট ও অ্যাকজেট সলিউশন, প্যাসিও ট্রেডার্স প্রাইভেট লিমিটেড।
ইতালির দুটি প্রতিষ্ঠান জেটিই ও ফাস্টি; তুরস্কের দুটি প্রতিষ্ঠান ওটেক ও গুভেনিস; জার্মানির ফিশার; চীনের ডু ইট ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড; থাইল্যান্ডের বেসিক জুয়েলারি কোম্পানি লিমিটেড। বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে ৫টি প্রতিষ্ঠান ড্রিমস ইনস্ট্রুমেন্ট টেকনোলজি, রাজঐশ্বরী, এক্সপার্ট ইনস্ট্রুমেন্ট, ট্রাস্ট ইনস্ট্রুমেন্ট বাংলাদেশ ও র্যার্টস বিডি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা