অতিরিক্ত শুল্ককর আদায়ে বেনাপোলে পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের জট
- বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা
- ২৯ জুন ২০২৪, ০০:০০
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের জারিকৃত নতুন আদেশ না মেনে বেনাপোল কাস্টম হাউজ তার নিজস্ব আইনে অতিরিক্ত শুল্ক করাদি আদায়সহ জরিমানা করার কারণে বেনাপোল বন্দরে পচনশীল পণ্য মাছফল ও সবজিসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে বেনাপোল বন্দরে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদেশ কার্যকরসহ অতিরিক্ত মালামালের জন্য জরিমানা করার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বেনাপোল কাস্টমসের সামনে শুক্রবার বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সামনে বিক্ষোভ করেছে আমদানিকারকেরা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কাস্টমস হাউজের সামনে বিক্ষোভের সময় আমদানি-রফতানি বন্ধের হুমকি দেয় বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত ২৩ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর পচনশীল পণ্য শুল্কায়নের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা জারি করে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেটের এক সভায় আমদানিকৃত শুল্কায়ন সমতা বজায় রাখা এবং আমদানিকারকদের জন্য সুষম সুবিধা নিশ্চিতকরণের কারণ দেখিয়ে আমদানি পর্যায়ে মাছ, শুঁটকি, টমেটো, পান ও বিভিন্ন ফলের সঠিক পরিমাপ নির্ধারণে পণ্যবাহী ট্রাকের চাকার সংখ্যার ভিত্তিতে ন্যূনতম ওজন প্রস্তাব ও সুপারিশ করা হয়, যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর করেন বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এতে লোকশানের কবলে পড়ে আমদানিকারকেরা। এ সময় পণ্য চালান খালাস না নেয়ায় বন্দরে আটকা পড়ে প্রায় অর্ধশতাধিক খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক। তাদের মধ্যে যেসব আমদানিকারকের ট্রাকের চাকার সংখ্যা অনুযায়ী ওজন ঠিক ছিল তাদের মালামাল খালাস করা হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, এনবিআরের জারিকরা নতুন আদেশের অনুচ্ছেদ ৪ কাস্টমস মূল্যায়ন না করায় তারা পণ্য চালান খালাস নিতে পারছে না। আদেশে বলা আছে নতুন আদেশের যে প্রাকৃতিক ওজন নির্ধারণ করা হয়েছে সে ওজনের অতিরিক্ত বা মালামাল কম থাকলে কাস্টম এবং শুল্ক গোয়েন্দার উপস্থিতিতে পণ্যটি পরীক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু বেনাপোল কাস্টম হাউজ সেটা করছেন না। মালামাল পরীক্ষা করে মালমাল কম বা বেশি থাকলে অতিরিক্ত শুল্ক করাদি পরিশোধসহ জরিমানার টাকা আদায় সাপেক্ষে আমদানি করা পচনশীল কাঁচামাল জাতীয় পণ্য বন্দর থেকে খালাস নিতে পারবে। তবে স্লাভ অনুযায়ী মাল কম থাকলেও যে পরিমাণ পণ্য থাকার কথা সেই পরিমাণ পণ্যেরই শুল্ক দিতে হবে? একই আদেশে দুই ধরনের নিয়ম। মাল বেশি থাকলে জরিমানা দিতে হবে আবার কম থাকলেও স্লাভ অনুযায়ী ওই ট্রাকে যে পরিমাণ মাল থাকার কথা তার চেয়ে কম থাকলেও অতিরিক্ত ডিউটি দিতে হবে। এটা কোন নিয়ম?
২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি চলমান সমস্যা নিরসন না হয় তবে ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি আরো বলেন, মালামাল বেশি আসলে অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হয়। কম আসলে কেন শুল্ক কম নেয়া হবে না। আমাদের ওপর এভাবে হয়রানি করলে এপথ দিয়ে আমরা আমদানি রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখব। তা ছাড়া গতকাল সন্ধ্যার পরে বেনাপোল কাস্টম হাউজের সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার মতো কেউ ছিলেন না সন্ধ্যার পরপরই সবাই বেনাপোল ছেড়ে ঢাকা চলে গেছেন। কারণ তাদের সবার পরিবার ঢাকায় থাকেন এ ব্যাপারে গতকাল রাতে বেনাপোল কাস্টম কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কাউকে পাওয়া যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা