শস্য খাতে বিনিয়োগের সুযোগ জোরদারে সহায়তা করছে এফএও
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ জুন ২০২৪, ০০:৪৬
বাংলাদেশের শস্য খাতে বিনিয়োগের সুযোগ জোরদারকরণে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করছে জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। গতকাল বুধবার এফএও-এর অগ্রাধিকার বিনিয়োগ পরিকল্পনা (২০২৪-২০৩০) এর ওপর ভ্যালিডেশন কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় বাংলাদেশে শস্য খাতে সম্ভাব্য বিনিয়োগের মূল ক্ষেত্রগুলো উপস্থাপন করা হয়।
এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। এ ছাড়া, এফএও-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ জিয়াকুন শি, বেসরকারি খাত, উন্নয়ন অংশীদার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ওয়াহিদা আক্তার বলেন, জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং বাংলাদেশের শস্য খাতকে রূপান্তরের জন্য আমরা এফএও এর সাথে একত্রে কাজ করছি। জিয়াওকুন শি বলেন, ফ্ল্যাগশিপ হ্যান্ড-ইন-হ্যান্ড ইনিশিয়েটিভের অধীনে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে শস্য খাতের জন্য অগ্রাধিকার বিনিয়োগ পরিকল্পনার প্রস্তুতিতে এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য এফএও কাজ করে যাচ্ছে যাতে একটি সমৃদ্ধ এবং খাদ্য-সুরক্ষিত বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে পারি।
এই কর্মশালার প্রস্তুতি হিসেবে ২০২২ এর জুলাই এবং সেপ্টেম্বর মাসে বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ এবং একাডেমিয়ার প্রায় ৭০০ স্থানীয় প্রতিনিধির অংশগ্রহণে ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল, কুমিল্লা, যশোর এবং ময়মনসিংহে, এফএও-এর সহযোগিতায় কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত আঞ্চলিক পরামর্শে অংশগ্রহণ করে। এই পরামর্শগুলো চারটি অগ্রাধিকার বিনিয়োগের ক্ষেত্র চিহ্নিত করে: কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, ভ্যালু এডিশন অ্যান্ড মার্কেটিং বিশেষায়িত, বহুমুখী কোল্ড স্টোরেজ, পোস্ট হারভেস্ট, সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা; সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা (ওডগ); এবং ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার (সিএসএ)। চারটি অগ্রাধিকার বিনিয়োগ এলাকা ছাড়াও ক্রস-কাটিং সমস্যাগুলো এই অগ্রাধিকার পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার, যান্ত্রিকীকরণ এবং নিশ্চিত করা যে সরবরাহ ও ভ্যালু চেইনের প্রতিটি পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা বিধি অনুসরণ করা হয়। এটি নিরাপদ, লাভজনক কৃষি এবং টেকসই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের জন্য জাতীয় কৃষি নীতির রূপান্তর লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এই কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে, এফএও এবং বাংলাদেশ সরকার কৃষকদের আয় বৃদ্ধি, ভোক্তাদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষা, এর কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি এবং এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অবদান রাখার লক্ষ্যে কাজ করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা