প্রশাসন এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান : গয়েশ্বর
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৯ জুন ২০২৪, ০০:৫৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছেন ততদিন মনে হয় না খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের এমন কোনো কারাগার নেই যেখানে আমাদের কর্মীরা বন্দী নেই। এই আটকও একটি বাণিজ্য। ধরে আনতে পারলে বাণিজ্য। আত্মীয় স্বজনরা দেখা করতে এলে টাকা, খাবার দিতে এলে টাকা, আদালতে এনে রিমান্ড না নেয়ার জন্য টাকা। এ রকম অনেক খাত আছে। প্রশাসন এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এটি জনগণের নিরাপত্তার জন্য নয়। খুনি, দূর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের রক্ষা করাই যেন প্রশাসনের কাজ।
তিনি বলেন, আজকে বিচারের আগেই পুলিশ হাত-পা ভেঙে বিচার করছেন। থানায় ঢুকে ছাত্রলীগের কর্মীরা পুলিশের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের পেটাচ্ছে। কোনো বিচার নেই।
গতকাল শনিবার বিকালে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনসহ রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনটি বিএনপি কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ফকিরাপুল বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
গয়েশ্বর বলেন, জনগণের নিরাপত্তা দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা থাকে না। যেখানে সরকারই ভেজাল সেখানে প্রশাসন নির্ভেজাল থাকে না। যে দেশে আইনের শাসন নেই সে দেশে জনগণ বিচার চাইবে কার কাছে। বিচারপতিই স্বাধীন না। সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিলে দেশ ত্যাগ করতে হয়। একজন জোর গলায় বললেন এসকে সিনহাকে কিভাবে দেশ ত্যাগ করিয়েছিলাম। তারপরও সেই বিচারপতিরাই তাকে সালাম দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, আজকে আমেরিকা বা কোনো রাষ্ট্র আমাদের দেশের কারো বিরুদ্ধে স্যাংশন দিলে তা জাতির জন্য লজ্জার। কিন্তু সরকার লজ্জা পায় না। বেনজির র্যাবের ডিজি থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনকে উত্তরা থেকে আটক করল। তার তিন মাস পর ভারতে তাকে পাওয়া গেল। এটি কিভাবে সম্ভব হলো? কেন তদন্ত করলেন না! আপনারা (সরকার) কি বিষয়টি জানতেন না!
এমপি আনার হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আনার একসময় সর্বহারা পার্টি করতেন। আওয়ামী লীগে যোগদান করে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলেন। আনার যে খুন হয়েছে তা এখনো প্রমাণ করতে পারেনি। তার শরীরের টুকরো এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আর যদি খুন হয়েই থাকে তাহলে তাকে খুনের দায়ে যাদের আটক করা হয়েছে খুনিরা কেন তাকে খুন করল তা কেন প্রকাশ করছেন না?
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যাকে প্রেস সচিব করেছেন তিনি একজন রাজাকারের ছেলে। যা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। এসব প্রশ্নের জবাব কে দিবে? এরা তো নির্বাচিত সরকার নয়। তাই তারা জনগণের কাছে জবাব দিতে বাধ্য নয়।
তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচনে মোদি বুঝেছে নির্বাচন কাকে বলে। সেখানে এখনো জবাবদিহিতা আছে। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো জবাবদিহিতা না দেখে সরকার যা ইচ্ছে তাই করছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা সেলিম রেজা, মৎসজীবী দলের সদস্যসচিব আব্দুর রহিম, বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীন নসু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব পাপ্পা সিকদার, ছাত্রদলের পাভেল সিকদার, খালিদ হাসান জ্যাকী, শামসুজ্জামান সূরুজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তার, হাজী মনির হোসেন চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মিন্টু প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা