দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট না দিয়ে বলে দিয়েছে তারা বিরোধী দলের সাথেই আছে : মান্না

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এই দেশে যে অনাচার চলছে আইয়্যামে জাহিলিয়াতের যুগকেও হার মানিয়েছে। এই সরকারের হাতে কোনো টাকা নেই। যে বাজেট ঘোষণা করেছে, সেই বাজেটের টাকা জোগান দেয়ার অবস্থাও নেই। যে সরকারের দেশ চালাবার টাকা নাই, সেই সরকার চলবে কিভাবে। জোর করে কিছুদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে; কিন্তু মানুষের পেটে যখন ক্ষুধার আগুন জ্বলবে তখন মানুষ পথে নামবেই। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেনি বরং আরো দুর্বল করেছে। আর আমরা যেমন ছিলাম তেমনি আছি বরং আরো শক্তিশালী হয়েছি। কারণ আমরাই জনগণের ম্যান্ডেট পেয়েছি। জনগণ সরকারকে ভোট দেয়নি। দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট না দিয়ে বলে দিয়েছেন তারা বিরোধী দলের সাথেই আছেন। যতক্ষণ না সরকারের পতন ঘটবে, আমাদের আন্দোলন চলবে। আসুন, আমরা একসাথে একযোগে লড়াই করি। সবাই সরকারের বিরেুদ্ধে লড়াই করলে এই সরকার টিকবে না।
ময়মনসিংহে গণতন্ত্র মঞ্চের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার বিকেলে নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকার ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন করে পাঁচ বছরের লাইসেন্স পেয়েছে; কিন্তু জনগণ তাদের সেই লাইসেন্স দেয় নাই। জনগণ উন্মুখ হয়ে আছে কখন এই সরকারকে বিদায় জানাবে। দেশের ৯০ ভাগ মানুষ বাজারে গিয়ে দিনের অর্ধেক বাজার কিনতে পারে না। তাদের হাতে টাকা নেই। পুঁজি ভেঙে খাচ্ছেন। সাকি বলেন, সরকার লুটের তাগিদে গ্যাসের দাম, বিদ্যুতের দাম, পানির দাম বাড়াচ্ছে। সরকারের ছাঁয়াতলে হাতে গোনা ১০-২০ জন আত্মীয়স্বজন, ভাই-ব্রাদার দেশের জনগণের সব সম্পদ সিরিঞ্জের মতো চুষে নিয়ে বিদেশে পাচার করছে। সরকার লুটেরাদের পাহারা দিচ্ছে। তিনি বলেন, জমি, টাকা আর বাড়ির লোভে সেনাবাহিনীর প্রধান তার সেনাবাহিনীর মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করে নিজেকে বিক্রি করে দেন। সেনা প্রধান যখন একটা দেশের সরকারের রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি করতে গিয়ে বিক্রি হয়ে যান তখনই দেশ বিপদে পড়ে। দেশের সার্বভৌমত্ব বিপদে পড়ে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি মাহবুবে আলম জুয়েলের সভাপতিত্বে সভা আরো বক্তব্য রাখেন- ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাকসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।