১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চামড়া সংরক্ষণে আট বিভাগে এক লাখ টন লবণ সরবরাহ

-

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহায় কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য দেশের আট বিভাগে এক লাখ টন ক্রড লবণ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলে বিসিক চামড়া সংরক্ষণ সেলের প্রধান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।
জানা গেছে, চলতি বছর ঈদুল আযহা উপলক্ষে সম্ভাব্য জবাইকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা হবে প্রায় এক কোটি সাত লাখের বেশি। এর বিপরীতে দেশে এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার গবাদিপশু মজুদ রয়েছে।
প্রায় এক কোটি সাত লাখ জবাইকৃত গবাদি পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য যে পরিমাণ লবণ প্রয়োজন তা ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিসিক প্রধান দফতরের লবণ সেলের প্রধান কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন। তিনি জানান চামড়ার সংরক্ষণের জন্য এক লাখ টন লবণের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের জন্য ৮৫ হাজার টন এবং ট্যানারিতে চামড়া প্রসেসিংয়ের জন্য ১৫ হাজার মেট্রিক টন ব্যবহৃত হবে।
এ দিকে বিসিক লবণ প্রকল্পের জিএম জাফর ইকবাল ভূঁইয়া গতকাল বিকালে জানান ধোলাই খরচ ছাড়া মাঠে প্রতিমণ অপরিশোধিত লবণ বিক্রি হচ্ছিল গড়ে ৩৫৫ টাকার মতো।
লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ নুরুল কবির জানান, গতকাল পর্যন্ত মিলগেটে অপরিশোধিত প্রতিমণ লবণ ৪৫০ থেকে ৪৯০ টাকা দরে পাইকারি কেনা হয়েছে। বিসিক প্রকল্পসূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৫ লাখ ২৮ হাজার টন।
তার মধ্যে বৈরী আবহাওয়া থাকায় উৎপাদন হয়েছে ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯০ টন। চলতি মৌসুমে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বাজার উপকূলে মোট ৬৮ হাজার ৫০৫ একর লবণ মাঠে ৪০ হাজার ৬৯৫ জন শ্রমিক লবণ উৎপাদনে জড়িত ছিল। বিসিকসূত্র জানায়, পরিশোধিত ভোজ্য আট লাখ ৭৮ হাজার টন, শিল্পখাতে আট লাখ ৩৭ হাজার টন, মৎস্যখাতে ৩৮ হাজার, প্রাণিসম্পদ খাতে তিন লাখ ৪৬ হাজার টনসহ চাহিদা রয়েছে ২০ লাখ ৯৮ হাজার টন। পরিশোধনের ১৭% প্রসেসিং লস-সহ মোট লবণের চাহিদা ধরা হয়েছিল ২৫ লাখ ২৮ হাজার টন।

 


আরো সংবাদ



premium cement