মেরিলের ১০ লাখ টাকার শিক্ষাবীমা পেল ৫ শিশু

শেষ হলো স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্র্যান্ড মেরিল বেবি আয়োজিত ‘মেরিল বেবি আদরে গড়া ভবিষ্যৎ ২০২৩’। স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্র্যান্ড মেরিল বেবি আয়োজিত এ কার্যক্রমের পাঁচ বিজয়ীর প্রত্যেকেই পেল ১০ লাখ টাকার শিক্ষাবিমা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথে একটি অভিজাত হোটেলে এক বর্ণাঢ্য সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পুরস্কার বিতরণীর এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। ছয় বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের জন্য ব্র্যান্ড মেরিল বেবি ২০০৪ সাল থেকে এ আয়োজন করে আসছে। সোনামণির সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে আপনি কী প্রস্তুতি নিচ্ছেন এ আহ্বানে এবার সাড়া দেয় দেশের লাখো বাবা-মা। তার মধ্য থেকে বাছাই করা হয় সেরা পাঁচজন বিজয়ীকে। এ আয়োজনের বিচারক ছিলেন কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, মনোবিজ্ঞানী মেহতাব খানম এবং অভিনেত্রী ও মেরিল বেবির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নুসরাত ইমরোজ তিশা।
বিজয়ীরা হলেন চট্টগ্রাম থেকে জয়ন্ত আচার্য্যরে সন্তান সুদিপ্ত আচার্য্য জয়, বরিশাল থেকে মিজানুর রহমানের সন্তান ফাইয়াজ আল আরাফ, ঢাকা থেকে লিপি আক্তারের সন্তান তাইয়্যেবা ইসলাম আলিয়া, খুলনা থেকে এম মনজুরুল হাসানের সন্তান সাইম হাসান রুসাব, ঢাকা থেকে মেহেদি হাশেম রাজীবের সন্তান মাদিহা আনা নিশা।

এ ছাড়া শিশুদের নিয়ে নিয়মিতভাবে কাজ করা তিনটি প্রতিষ্ঠানকে এ অনুষ্ঠানে ‘আদরে ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর’ সম্মাননা দেয়া হয়।
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে পাঠদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘জাগো ফাউন্ডেশন’, সেনাবাহিনীর পরিচালনায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিশেষ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও থেরাপির সাহায্যে পুনর্বাসন কাজে নিয়োজিত ‘প্রয়াস’ এবং সমাজসেবা অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে পিতৃ-মাতৃ পরিচয়হীন শিশুদের রাষ্ট্রীয় আশ্রয়ে গড়ে তোলার কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ‘সোনামণি নিবাস’।
জাগো ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এর প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকশান্দ, প্রয়াসের পক্ষ থেকে এর নির্বাহী পরিচালক ও অধ্যক্ষ কর্নেল মো: আনোয়ার উজ জামান ও সোনামণি নিবাসের পক্ষ থেকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সম্মাননা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অঞ্জন চৌধুরী, চিফ অপারেটিং অফিসার মালিক মোহাম্মদ সাঈদ, ‘মেরিল বেবি আদরে গড়া ভবিষ্যৎ ২০২৩’-এর ইন্স্যুরেন্স পার্টনার গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও শেখ রাকিবুল ইসলামসহ স্কয়ার গ্রুপের ঊর্ধŸতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানের আলোচনায় বক্তারা শিশুর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে শূন্য থেকে ছয় বছরের মধ্যে তাকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।