১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরাইল ব্যতীত’ শব্দ বাদ দেয়া দুঃখজনক : ড. মোমেন

-

মুসলিম বিশ্বের বেশির ভাগ রাষ্ট্রনায়ক জনতার রায়ে নির্বাচিত নয়। তবে বাংলাদেশের সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। তাই আরব বিশ্ব ফিলিস্তিন ইস্যুতে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছে না। ব্রাজিলের মতো নন-মুসলিম দেশ ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করলেও কোনো মুসলিম রাষ্ট্র এ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি। ওআইসি ও আরব লিগ একাধিকবার বৈঠকে বসলেও তারা ইসরাইলি পণ্য বয়কটে এক হতে পারেনি। ইসরাইলের সাথে আমাদের কোনো বাণিজ্যিক সম্পর্ক না থাকলেও তাদের ও তাদের মিত্রদের অনেক পণ্য আমাদের দেশে বিক্রি হচ্ছে। সম্প্রতি আমাদের পাসপোর্ট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরাইল’ (ঊীপবঢ়ঃ ওংৎধবষ) শব্দটি বাদ দেয়া দুঃখজনক। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অন্য কেউ আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা না করেই এ পরিবর্তন করেছে। পাসপোর্টকে আরো মানসম্পন্ন করা এবং খরচ কমানোর জন্য জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান এই কাজটি করেছে বলে আমাকে অবহিত করা হয়। জাতিসঙ্ঘের নিজস্ব শক্তি বলতে কিছু নেই। পাঁচটি মোড়ল রাষ্ট্রের ওপর তারা নির্ভরশীল। ১৫ হাজার শিশুসহ ৩৬ হাজার মানুষকে হত্যার পরও মানবতার ফেরিওয়ালারা ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকা রাখেনি। পশ্চিমাদের বাদ দিয়ে আরব বিশ্ব এক হলেও ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ফিলিস্তিন ও ইসরাইল দুটি পৃথক রাষ্ট্রগঠনের মাধ্যমেই বর্তমান সমস্যার সমাধান সম্ভব। গতকাল এফডিসিতে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসন নিরসনে করণীয় নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থন করা নিয়ে কোনো বিভক্তি নেই, সবাই ফিলিস্তিনের পক্ষে। ফিলিস্তিনিদের লড়াই একক কোনো লড়াই নয়। এ লড়াই সারা পৃথিবীর মানুষের লড়াই। এই লড়াই বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে আমাদেরও লড়াই। ফিলিস্তিনের মানুষের যে নীরব কান্না তা সারা বিশ্বের বিপন্ন আর্তমানবতার চিৎকার। গাজায় যে হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, নৃশংসতা ও অমানবিকতা ঘটেছে, তা বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কালো অধ্যায়। ফিলিস্তিনের প্রত্যেকটি মানুষ এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। খাদ্য নেই, পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, চিকিৎসা নেই। হাসপাতালে লাশের সারি। চারিদিকে লাশের পচা গন্ধ। আর যারা বেঁচে আছেন তারা যেভাবে আছেন তা মরে যাওয়ার মতো। অনেক জায়গায় দেখা গেছে পরিবারের সবাই মারা গেলেও লাশ শনাক্তের জন্য হয়তো দুই একজন বেঁচে আছেন। সন্তানের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন লাশ শনাক্ত করতে পারছে না বাবা-মা। মাথার খুলি ভাঙা, ছিন্ন বিচ্ছিন্ন অনেক শিশুর লাশ হাসপাতালে আনা হচ্ছে। তাই অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের শরীরের বিভিন্ন অংশে নাম লিখে রাখছেন। যাতে হামলায় মারা গেলেও নিজ সন্তানের লাশটি খুঁজে পাওয়া যায়। এই বর্বরতার অবসান হওয়া উচিত। বিজ্ঞপ্তি।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
হালাল পণ্যের বাজার প্রসারে বাংলাদেশের সাথে কাজ করবে মালয়েশিয়া শমী কায়সারের জামিন স্থগিত দেড় যুগ পর সিলেটে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন কাল হালাল পণ্যের বাজার প্রসারে একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ৫ বছর পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি জিতল জিম্বাবুয়ে জাহিদ-পলক-আজমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা দেশে এলো ইউক্রেন থেকে আমদানি করা গম চঞ্চলকে ‘গৃহবন্দী’ করার খবরে তোলপাড় ভারতে, অভিনেতা জানালেন ‘পুরোটাই মিথ্যা’ সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দ ১ দিনের রিমান্ডে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মুজিবর, সম্পাদক মফিজুর রহমান যশোরের শার্শায় ৩০০ বিঘা সরকারি জমি উদ্ধার

সকল