ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মা ও আহত শিশুর পরিচয় মিলেছে
- ময়মনসিংহ অফিস
- ১৩ মে ২০২৪, ০০:০৫
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে দুই দিন পড়ে থাকা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া চিকিৎসাধীন শিশুর পরিচয় মিলেছে। মায়ের নাম জায়েদা খাতুন (৩২)। তিনি সিলেট সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার খুশিউড়া গ্রামের বাসিন্দা মো: রমিজ উদ্দিনের মেয়ে। বেঁচে যাওয়া দেড় বছর বয়সী শিশুর নাম জায়েদ। শিশুটি এখন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আইনি অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ওসি মো: আতাউর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায় ওই শিশু ও তার মা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। তবে কিভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা জানা যায়নি। পরে ৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশ ওই শিশু ও তার মাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। চিকিৎসাধীন অবস্থ’ায় মা মারা যান। আহত শিশুটি মাথায় আঘাত নিয়ে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওয়ার্ডের চিকিৎসক ফারজানা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে। অবুঝ শিশুটি হাসপাতালে অঝোরে কান্নাকাটি করছিল। উপস্থিত লোকজন শিশুটিকে কোলে নিয়ে সান্ত¡না দেয়ার চেষ্টা করেন। হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসা নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। এদিকে মাতৃহারা এ শিশুটির চিৎকারে হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
ভালুকা হাইওয়ে থানার পুলিশের কর্মকর্তা মো: বাবুল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার কাপাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো: ফারুক মিয়ার সাথে নিহত জায়েদার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। ফারুক কফিল উদ্দিনের ছেলে। ফরুকের ঘরে প্রথম স্ত্রীসহ তিনটি সন্তান রয়েছে। যে কারণে জায়েদার বিয়ে মেনে নেয়নি ফরুকের পরিবার। ফলে জায়েদার সাথে তার স্বামীর যোগাযোগ না থাকায় স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায় শিশু জাহিদকে নিয়ে বসবাস করতেন। ধারণা করা হচ্ছে ঘটনার দিন রাতে তিনি রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা