কয়রা সাংবাদিক ফোরামের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ
- খুলনা ব্যুরো ও কয়রা সংবাদদাতা
- ০৮ মে ২০২৪, ০০:০৫
খুলনার কয়রা উপজেলায় ‘কয়রা সাংবাদিক ফোরাম’ নামে একটি ভুঁইফোড় সংগঠনের চাঁদাবাজি ও মানুষকে হয়রানি করাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের পাশাপাশি নানা জুলুমের ভয়ে তাদের ব্যাপারে মানুষ নীরব থাকছে, এমনকি ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও কেউ কেউ বিতর্কিত সম্মাননা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সোমবার খুলনার বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আবেদন করেছেন কয়রার বিভিন্ন পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষ। আবেদন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারা সাংবাদিক সংগঠনের নামে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসসহ বিভিন্ন অনিবন্ধিত অনলাইনে স্থানীয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অপপ্রচার চালিয়ে ব্লাকমেইল করছে। অনুমতি না নিয়ে যাকে-তাকে আইডল, গুণীজন সম্মাননার স্টিকার তৈরি করে ফেসবুকে পোস্ট করে। যাকে-তাকে গুণীজন উপাধিতে ভূষিত করছে। তারপর গুণীজন সংবর্ধনার নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা আদায় করছে। এই চক্রটি অ্যাওয়ার্ড-উপাধির মোড়কে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করে । অনেকে ইচ্ছা না থাকার পরেও অনেক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্মাননা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ চক্রের প্রধান গোবরা গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে তারিক লিটু বলে জানা যায়। তিনি ছাত্রজীবনে ২০১৬ সালে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদের উসকানি ও অপসাংবাদিকতার দায়ে প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হলো থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার এবং একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক বহিষ্কারের শাস্তি পান। তার বিরুদ্ধে ১৮ জানুয়ারি চাঁদার দাবিতে ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে কয়রা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের মিজানুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী। ১৮ এপ্রিল সংগঠনটি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে প্রধান অতিথি ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকে বিশেষ অতিথি রেখে গুণীজন সংবর্ধনা-২০২৪ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কিন্তু সংসদ সদস্য তাদের সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানতে পেরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। ওই অনুষ্ঠানে অনেকেই সম্মাননা নিতে যাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সম্মাননা পাওয়া একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতা বলেন, ফেসবুকে তাদের সম্পর্কে নেগেটিভ কমেন্ট দেখলে ঘৃণা লাগে। তাদের মতো ভুইফোঁড় সংগঠন থেকে সম্মাননা নেয়ার কোনো ইচ্ছাই ছিল না। তবে তাদের কথা না শুনলে আমাদের মানসম্মান নিয়ে টানা হেঁচড়া করবে বলে নিতে বাধ্য হয়েছি। গত বছর সেরা কবি সাহিত্যিক হিসেবে পদক দিতে চান বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা এক শিক্ষার্থীকে। তিনি একাধিক বইয়ের লেখক ও একজন স্বনামধন্য প্রচ্ছদশিল্পী। তিনি পদক নিতে অসম্মতি জানালে তাকে ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করা হয়। তাদের কর্মকাণ্ডে কয়রার প্রকৃত পেশাজীবী সংবাদকর্মীদের ভাবমর্যাদা নষ্ট হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা