১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বালাকোটের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে : শিবির

-

যুগে যুগে দেশমাত্রিকা ও ইসলামকে নিয়ে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করেছে এবং তা আজো অব্যাহত আছে। কিন্তু দেশ ও ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকে ঈমানদারগণ কখনো মেনে নেয়নি; আমরাও মেনে নেবো না। আজ বালাকোট দিবস আমাদের সেই ঈমানী শক্তির কথায় স্মরণ করিয়ে দেয়। দেশ ও ইসলামপ্রিয় জনতাকে সাথে নিয়ে বালাকোটের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রকে আমরা রুখে দেবো ইনশা আল্লাহ।
গতকাল ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখার বালাকোট দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম এ কথা বলেন। বালাকোট দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস টেনে তিনি বলেন, শহীদ সাইয়েদ আহমদ (রহ:) ছিলেন ঈমানের দাবিতে সদা তৎপর এক মর্দে মুজাহিদ। অখণ্ড ভারতবর্ষে গেঁড়ে বসা ইংরেজদের মসনদকে তিনি কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। তৎকালীন ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে শুরু করে মর্দান পর্যন্ত বিশাল অঞ্চলে তিনি একদল জানবাজ মুসলমানদের নিয়ে ইসলামী শাসনব্যবস্থা চালু করেছিলেন। চরম মুসলিমবিদ্বেষী শিখ ও ইংরেজ সরকার মুসলমানদের এ প্রচেষ্টায় ভীত হয়ে পড়ে। তারা ছলে বলে-কৌশলে উদীয়মান নবগঠিত এ মুসলিম প্রজাতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ১৮৩১ সালের ৬ মে ঐতিহাসিক বালাকোটের ময়দানে ইংরেজরা তাদের সমর্থনপুষ্ট শিখদের বিশাল বাহিনীকে মুসলিমদের ওপর লেলিয়ে দেয়। তাদের ষড়যন্ত্র সফল করে উদীয়মান মুসলিম প্রজাতন্ত্রের আলো নিভিয়ে দেয়। কিন্তু সাইয়েদ আহমদের (রহ:) ঈমানদীপ্ত দ্বীন বিজয়ের আন্দোলন আমাদের ঈমানী চেতনাকে আরো শাণিত করে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই ছোট্ট দেশটিকে নিয়েও দেশী-বিদেশী অনেক চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আধিপত্যবাদী রাষ্ট্র ও তাদের এ দেশীয় দোসররা আমাদের মাতৃভূমি ও ইসলামকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। আমরা স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হয়েও পরিপূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করতে দেয়া হচ্ছে না। দেশপ্রেম ও ইসলামের কথা বললেই নানারকম উপাধি দিয়ে আমাদের কণ্ঠকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, গুম করা হচ্ছে, খুন করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা তাদের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত আর রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না।
তিনি বলেন, ১৮৩১ সালের পর ১৯৩ বছর পার হয়েছে। তৎকালীন শিখ ও ইংরেজ আশীর্বাদপুষ্ট জমিদার শ্রেণীর নির্যাতনের মতোই আজকের মুসলিম উম্মাহ নানারকম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী মুসলিম মিল্লাতের এ করুণ দশা থেকে মুক্তি পেতে আমরা শহীদ সাইয়েদ আহমদের (রহ:) শিক্ষাকে কাজে লাগাতে পারি। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement