১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ট্যানারি শ্রমিকের মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা করার প্রস্তাব সিপিডির

মালিক পক্ষের ‘না’
-

ট্যানারি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ২০ হাজার ৫৬৪ ও নন-ফুড খাতে ১২ হাজার ৮৮১ টাকা হিসেবে মাসে মোট ৩৩ হাজার ৪৪৫ টাকা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে অ্যাংকর সিস্টেমে পরিবারের সদস্য সংখ্যা ও তাদের আয়কেও বিবেচনায় নেয়া হয়। অর্থাৎ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের আয় ও বর্তমান বাজার বিবেচনায় নেয়া হয়। সেই হিসেবে সিপিডি মনে করছে ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা। একই সাথে তাদের প্রস্তাব থাকবে গ্রেডিং সিস্টেম ঠিক করে একটি গ্রেডে আনা।
‘ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিং ও আলোচনায় এ প্রস্তাব দেয় সিপিডি। গতকাল শনিবার ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে সিপিডির প্রস্তাব অনুযায়ী মজুরি বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। তিনি বলেছেন, কাঁচামালের ও গ্যাসের মূল্য বাড়ায় এ খাতে মুনাফা কমেছে। পাশাপাশি সনদ না থাকায় ইউরোপে ভালো দামে চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না তারা।
এই বিষয়ে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেছেন, শিল্পের স্বার্থে মালিক এবং শ্রমিক উভয়ের কথা শুনে মজুরি চূড়ান্ত হবে। ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নে বোর্ড আম্পায়ারের ভূমিকায় থাকবে।
অন্য দিকে ট্যানারি মালিকরা চুক্তি অনুযায়ী, শ্রমিকদের জন্য আবাসন ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেন না বলে জানিয়েছেন ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক।
সভায় প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো: মিজানুর রহমান, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো: আবদুল মালেক। সূচনা বক্তব্য দেন অশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম মোরশেদ।
সিপিডি জানায়, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ট্যানারি বা চামড়াশিল্প খাতের একটি শ্রমিক পরিবারের প্রয়োজনীয় খাবারের খরচ মাসে ২০ হাজার ৫৬৪ টাকা। আর খাদ্যবহির্ভূত খরচ ১২ হাজার ৯১৪ টাকা। একটি শ্রমিক পরিবারের গড় সদস্যসংখ্যা ৪ দশমিক ছয়জন। এর মধ্যে উপার্জনক্ষম সদস্য ১ দশমিক পাঁচজন। সেই হিসাবে একজন শ্রমিকের মাসিক ন্যূনতম মজুরি হওয়া দরকার ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা। খন্দকার হলেও এ খাতের মজুরি নিয়ে আলোচনা কম হয়। সুতরাং মজুরি বৃদ্ধি পেলে এ শিল্প খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
সিপিডির প্রস্তাবের বিষয়ে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো: আবদুল মালেক জানান, সিপিডির প্রস্তাবটি তাদের আকাক্সক্ষার সাথে মেলেনি, তবে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে এ খাতের সার্বিক অবস্থা উঠে এসেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছি। প্রস্তাবটি ইতোমধ্যে মালিকপক্ষ ও মজুরি বোর্ডের কাছে দেয়া হয়েছে।’
এই বিষয়ে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, ‘মালিকপক্ষ বলেছে এত পরিমাণে (সিপিডির প্রস্তাব অনুযায়ী) মজুরি দেয়া সম্ভব নয়। তবে মজুরি বোর্ডে আলোচনা করে দেখা হবে মজুরি কতটা বাড়ানো সম্ভব, যাতে শিল্প টেকে এবং শ্রমিকরাও বেঁচে থাকে, সেটি বিবেচনায় রেখে বাস্তবায়নযোগ্য একটি বেতনকাঠামো দেয়ার চেষ্টা করব আমরা।’
ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য মোট পাঁচটি গ্রেডে মজুরি প্রস্তাব করেছে সিপিডি। এর মধ্যে পঞ্চম গ্রেডের জন্য ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা এবং প্রথম গ্রেডের জন্য ৩৯ হাজার ২৭০ টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি।


আরো সংবাদ



premium cement
চীনের রাষ্ট্রদূতের সাথে মঈন খানের বৈঠক আমাদের দু’টি বিজয় দিবস বীর মুক্তিযোদ্ধারা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে : অ্যাডভোকেট জুবায়ের ভারতীয় চলচ্চিত্রে বাংলাদেশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন! স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক, প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর রাজশাহীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেফতার জামায়াত নেতা ড. তাহের সম্পর্কে সাংবাদিক ইলিয়াসের মন্তব্যের প্রতিবাদ গাজীপুরে নতুন ট্রেন ও অসমাপ্ত বিআরটি লেনে বিআরটি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন বেনজীর ও মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকের ৬ মামলা ছিনতাই রোধে রাজধানীতে শেষ রাতে পুলিশি টহল বাড়ানোর নির্দেশ পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সাথে বিএনপি নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সকল