জবি শিক্ষক সেকান্দারের বিচারের সুপারিশ বিভাগীয় কমিটির
- জবি প্রতিনিধি
- ০৩ মে ২০২৪, ০০:১২
ফেসবুক স্ট্যাটাসে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক আবু সালেহ সেকান্দারের বিরুদ্ধে এবার বিচারের সুপারিশ করেছেন তার বিভাগেরই সব শিক্ষক। বিভাগটির ১১১তম একাডেমিক সভায় সব শিক্ষকই এ সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভিসি বরাবর ইসলামের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত একাডেমিক কমিটির সব শিক্ষকের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষক আবু সালেহ সেকান্দার তার ফেসবুকে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের পিএইচডি কমিটি ও ডিগ্রি প্রদান বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেন এবং তিনি বারবার ফেসবুকে এটা পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন কখনোই বিভাগের কোনো পিএইচডি কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য ছিলেন না। তার এমন মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক, অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে ড. আবুল হোসেনসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যান, গবেষক ও শিক্ষকদের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণœ হয়েছে। একই সাথে ইসলামের ইতিহাস বিভাগ, নির্বাহী কমিটি, একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটসহ সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে।
আরো উল্লেখ করা হয়, মাস্টার্স পরীক্ষার থিসিস মূল্যায়নে জালিয়াতি, কোর্স শিক্ষক হিসেবে নারী শিক্ষার্থীদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অপচেষ্টা ইত্যাদির অভিযোগে ২০১৫ সালে একাডেমিক কমিটি তাকে থিসিস গাইড, ক্লাস-পরীক্ষা এবং যাবতীয় কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি দিয়ে একাডেমিক কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিচার প্রার্থনা করে। একাডেমিক কমিটি মনে করে সেকান্দারের এরূপ আচরণ অশিক্ষকসুলভ, অনৈতিক ও অপরাধমূলক। একাডেমিক কমিটির সবাই তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদানের প্রয়োজনীয়-ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করছে। এর আগে ফেসবুকে অশালীন পোস্ট দিয়ে সম্মানহানি করার জন্য গত ৩০ এপ্রিল আবু সালেহ সেকান্দারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আবুল হোসেন।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের নিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সাথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় প্রক্টোরিয়াল বডির কাছে আটকের পর বিয়ে, ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভোট চোর’সহ কটূক্তি, ফেসবুকে ভিসি, ডিন, প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকদের গালিগালাজের অভিযোগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এসব অভিযোগে শিক্ষক সেকান্দারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ সিন্ডিকেটে তদন্ত কমিটিকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা