১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জবিতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

-

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বর্ণিল শোভাযাত্রার মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে নববর্ষ উদযাপন শুরু হয়। এরপর আলোচনা সভা, লোকসঙ্গীত, যাত্রাপালার মতো ছিল নানা অনুষ্ঠান।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে আবার জবি ক্যাম্পাসে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ভিসি ড. সাদেকা হালিম।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নতুন করিনু সৃজন/ মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে। শোভাযাত্রায় একটি রিকশা করে নতুন বর বউয়ের যাত্রার প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়। রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সঙ্কটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘের মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটির আয়োজনের দায়িত্বে ছিল চারুকলা অনুষদ।
মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া সত্ত্বেও সীমিত অবকাঠামো নিয়েও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহৎ পরিসরে নববর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে। সারাদিন ব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যায়ের মূল প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থী। আর এ ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা তুলে ধরতে পারছে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন জবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও কর্মচারী সমিতির সভাপতি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েই ক্যাম্পাস ভিত্তিক সবচেয়ে বড় মঙ্গল শোভাযাত্রা পালিত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement