১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নূরীর মা হাফসার জামিন স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ার আবেদন শুনানি ৩ এপ্রিল

-

নাশকতার অভিযোগের মামলায় কারাবন্দী শিশু নুরজাহান নূরীর মা হাফসা আক্তারকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিতাদেশ তুলে নিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে করা আবেদনের শুনানির জন্য ৩ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল রোববার আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলামের আদালত শুনানির এ দিন ধার্য করা হয়। চেম্বার আদালতে হাফসার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সাথে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো: মাকসুদ উল্লাহ। আইনজীবী মো: মাকসুদ উল্লাহ জানিয়েছেন, হাফসা আবেদনের ওপর আজ আংশিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ৩ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে গত ১০ মার্চ শিশু নুরজাহান নূরীর মা হাফসা আক্তারকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। ওই দিন হাফসার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে দুই শিশুর মা হাফসা আক্তারকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। লিখিত আদেশ পেলে আমরা এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো। গত ৬ মার্চ বিচারপতি মো: রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে হাফসার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। ওইদিন আদালতের তার চার বছর বয়স মেয়ে নূরজাহান নূরী ও তার সাত বছর বয়সী বড় বোন আকলিমা উপস্থিত ছিল। হাইকোর্টের আদেশের ফলে নূরীর মা হাফসার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সাথে ছিলেন আইনজীবী মো: মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। এর আগে গত ৪ মার্চ মায়ের জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় দাদির হাত ধরে হাইকোর্টে আসে চার বছর বয়সী নূরজাহান নূরী। ওই দিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগসংক্রান্ত ফুটেজ রাষ্ট্রপক্ষকে আদালতে দাখিল করতে বলেছেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে উপস্থিত হতে বলতে বলা হয়েছে।
এ মামলায় গ্রেফতারের পর গত বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে কারাগারে আছেন হাফসা। এ মামলায় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর তিনি জামিন চেয়ে রোববার হাইকোর্টে আবেদন করেন। সোমবার আবেদনটি শুনানির জন্য হাইকোর্টে ওঠে।
গত ২৯ নভেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন হয়েছিল। সেদিন নূরজাহান ও আকলিমার মতো মানববন্ধনে এসেছিল আরো কিছু শিশু। মানববন্ধনের ব্যানারে আয়োজক হিসেবে লেখা ছিল, ‘রাজবন্দীদের স্বজন’।
দুই শিশুর বাবা আবদুল হামিদ ভূঁইয়া বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। দুই শিশুর দাদা আবদুল হাই ভূঁইয়া ২৯ নভেম্বরের মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেছিলেন, তার বড় ছেলে হামিদকে পুলিশ খুঁজছে। তাকে না পেয়ে ছেলের স্ত্রী হাফসাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। অথচ হাফসা রাজনীতির সাথে জড়িত নন।


আরো সংবাদ



premium cement
ঘড়ির সময় বদলাতে চান না ট্রাম্প ভারতীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে অস্ত্র বাংলাদেশ : ওয়েইসি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র খেয়ালখুশিমতো খরচ হয়েছে জলবায়ু তহবিলের অর্থ গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন : র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ আরাকানে সাড়ে ৪ শ’সেনা নিহত, জান্তার নিয়ন্ত্রণ শেষ বিপাকে রোহিঙ্গারা ভারতসহ সাত ‘অসহযোগী’ দেশের তালিকা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের সিরীয়রা স্বাধীনতা উদযাপনের সময় দামেস্কে ইসরাইলের হামলা আগামীতে সবাইকে নিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে বেক্সিমকোর জন্য ১৮০ কোটি টাকা ছাড় করছে জনতা ব্যাংক বেকারত্বহীন বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে জামায়াত : ডা: শফিক

সকল