১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
ঠেকাবে হিমাগার মালিক সিন্ডিকেট

বগুড়ায় সরকারি উদ্যোগে নির্মাণ হচ্ছে অহিমায়িত আলু সংরক্ষণাগার

-

সরকার প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে বগুড়া জেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের আলু সংরক্ষণের জন্য ৪০টি অহিমায়িত মডেল ঘর নির্মাণ করছে। প্রকল্পের আওতায় জেলার সাতটি উপজেলায় এসব অহিমায়িত মডেল ঘর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার তিনটি উপজেলায় ১৯টি আলু সংরক্ষণাগার নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া সদর উপজেলায় সাতটি, শিবগঞ্জ উপজেলায় ছয়টি ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ছয়টি মডেল ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এসব আলু সংরক্ষণাগার নির্মাণ সম্পন্ন হলে প্রতিটিতে ৩০ জন করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আলুচাষি বিনামূল্যে বস্তা ছাড়াই এক টন করে এবং জেলায় ৪০টি সংরক্ষণাগারে মোট ১২ শ’ মেট্রিকটন আলু সংরক্ষণ করতে পারবেন। নির্মাণাধীন অন্য ২১টি আলু সংরক্ষণাগারের মধ্যে শাজাহানপুর উপজেলায় ছয়টি, নন্দীগ্রাম উপজেলায় ছয়টি, কাহালু উপজেলায় ছয়টি ও আদমদীঘি উপজেলার তিনটি রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি বিপণন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, কৃষি বিপণন অধিদফতরের বাস্তবায়নে আলুর বহুমুখী ব্যবহার সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি আলু সংরক্ষণাগার (মডেল ঘর) নির্মাণে আড়াই লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে আলু উৎপাদন হয়ে থাকে। ফলে আলুর উৎপাদন মৌসুমে তাদের আলু সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ায় অনেক আলু জমি থেকেই বিক্রি করে দেন চাষি। আবার আলুর উৎপাদন খরচ মেটাতে না পেরে নগদ টাকা সংগ্রহের জন্য দ্রুত আলু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন কৃষক। ফলে তারা আলুর ন্যায্যমূল্য ও লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হন। এরপর আলু চলে যায় কোল্ড স্টোর সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে। এরপর তারাই আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করার ফলে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে আলুর বাজার। এসব অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ও আলু চাষ যেন তার জমিতে উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দাম পেয়ে লাভবান হতে পারেন এবং সহজেই আলু সংরক্ষণ করতে পারেন সে লক্ষ্যে সরকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এতে আলুর অভ্যন্তরীণ চাহিদা সৃষ্টি, অপচয় রোধ এবং সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। প্রতিটি ২৫ ফুট দৈর্ঘ্য ১৫ ফুট প্রস্থের আয়তন বিশিষ্ট মডেল ঘরে ৩০ জন আলুচাষি তাদের জমিতে উৎপাদিত এক টন করে মোট ৩০ টন আলু সংগ্রহ করতে পারবেন। বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত চার থেকে পাঁচ মাস সাধারণ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় আলু সংরক্ষণ করা যাবে।
কৃষি বিপণন অধিদফতর বগুড়া কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মমতা হক জানিয়েছেন, বগুড়ায় চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি আলু উৎপাদন হওয়ায় কৃষকের বসতবাড়িতে রাখার জায়গার অভাব ও নগদ অর্থের প্রয়োজনে তারা দ্রুত আলু বিক্রি করতে বাধ্য হন। ফলে তারা ভালো মুনাফা থেকে বঞ্চিত হন। ঘরগুলো নির্মাণ সম্পন্ন হলে কৃষকরা বিনা খরচেই তাদের আলু সংগ্রহ করতে পারবেন।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
দেশকে উন্নত ও শক্তিশালী করতে আমরা বদ্ধপরিকর : প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে, ফিরে আসার সুযোগ নেই : সোহেল আমাদের সংবিধান ও পার্বত্য শান্তিচুক্তি চব্বিশের নতুন বাংলাদেশে বিজয় দিবস বাংলাদেশের ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব চীনের রাষ্ট্রদূতের সাথে মঈন খানের বৈঠক বীর মুক্তিযোদ্ধারা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে : অ্যাডভোকেট জুবায়ের ভারতীয় চলচ্চিত্রে বাংলাদেশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন! স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক, প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর রাজশাহীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেফতার জামায়াত নেতা ড. তাহের সম্পর্কে সাংবাদিক ইলিয়াসের মন্তব্যের প্রতিবাদ

সকল