দেশকে মুক্ত করতে সাংবাদিকসহ পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : আমীর খসরু
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ৩০ মার্চ ২০২৪, ০২:২৬
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম সফল হয়েছে। দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে। আর যারা অংশগ্রহণ করেছে নির্বাচনের পরে তাদের ২/৩ শতাংশও তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপির ডাকে তারা ঘরে বসে কাজ করেছে। গুম, খুন, মামলা, হামলা ও ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দল থেকে বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা হয়েছে। একজনও তাদের ভয়ে দল ছেড়ে যায়নি। বিএনপি জ¦লে পুড়ে খাটি সোনার দলে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তিশালী দল হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এখানেই আমাদের আন্দোলনের দুই সফলতা।
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম মেট্র্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক ইসকান্দর আলী চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারী অধ্যক্ষ নূরুল আমিন, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নূরুল আমীন, সাংবাদিক জাহেদুল করিম কচি, শামসুদ্দিন হারুন প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সালেহ নোমান।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার দেশে বিশেষ বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠি সৃষ্টি করেছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তারা চলে। তারা ওয়াচ ডগ না লেপ ডগ-এ পরিণত হয়েছে। সরকার তাদের হামাগুড়ি দিতে বললে তারা শুয়ে যান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরো বলেন, দেশপ্রেম নিয়ে সাহস নিয়ে যারা সাংবাদিকতা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। যে ক’জন সাংবাদিক ও মিডিয়া এবং সঙগঠন কিছু সাহসী কথা বলছে তারা চাপের মুখে রয়েছে। মামলা, হামলা হচ্ছে। দিগন্ত টিভি, আমার দেশ, ইসলামীক টিভিসহ বেশ কিছু মিডিয়া সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। সাধারণ সাংবাদিকরা মুক্ত সাংবাদিকতা চাচ্ছে। এ দেশকে মুক্ত করতে বিএনপির একার দায়িত্ব না। সাংবাদিকসহ বিভিন্œ পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী বলেন, আজকে দেশের মানুষের ভোটাধিকার চুরি হয়ে গেছে। পুলিশের নির্যাতনের কারণে ন্যায় বিচার পাওয়ার স্থান নষ্ট হয়ে গেছে। নির্যাতিত মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। খুন, গুম নির্যাতন চলছে। আমাদের খুন, গুম নির্যাতন করে আন্দোলন স্তব্দ করা যাবে না। মানুষের অধিকার ফেরাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আজ অসংখ্য মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি দলের ক্যাডাররা সাংবাদিক পিটিয়ে আহত করছে। কোন বিচার পাওয়া যাচ্ছে না। বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশে ৬০ জন সাংবাদিক খুন হয়েছে। ৪০০ গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে দেশপ্রেমিক সাংবাদিকরা থাকতে পারছে না। কুমিরভর্তি পুকুরে সাংবাদিকদের হাতপা বেধে সাতাঁর কাটছে হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন,আজ গণতন্ত্র ভুলুণ্ঠিত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা