১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঈদ শপিংয়ের ২৫ শতাংশ অনলাইনে

-

ঈদ ঘিরে মার্কেট বিপণিবিতানে যে পরিমাণ কেনাকাটা হয় তার ২৫ শতাংশ হচ্ছে অনলাইন ই-কমার্সের মাধ্যমে এবং ফেইসবুক ভিত্তিক এফ-কমার্সে। এর মধ্যে রয়েছে দেশের নামীদামি ব্র্যান্ডসহ কয়েক হাজার অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে এবার ৯ লাখ পণ্য ডেলিভারি হতে পারে বলে ই-কমার্স সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
তথ্যনুযায়ী দেশে গত চার বছর আগেও অনলাইনে তেমন একটা মার্কেটিং ছিল না। করোনা মহামারী শুরুর পর ঘরবন্দী মানুষ অনলাইন কেনাকাটায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এভাবে করে মাহামারীর কয়েক বছরে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে এক লাফে কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।
এভাবে কয়েক বছর চলার পর মহামারী শেষে অনলাইনে কেনাকাটা কিছুটা কমে আসলেও অভ্যস্ত হয়ে পড়া মানুষের বড় একটি অংশ অনলাইনে কেনাকাটার সহজলভ্যতা থেকে বের হতে পারেনি। ফলে উৎসব থেকে শুরু করে নিয়মিত তারা ঘরে থেকেই পছন্দের পণ্য অনলাইনে অর্ডার করছেন। যার সংখ্যা ঈদে আরো বেড়ে যায়। ফ্যাশন হাউজ ছাড়াও ডিল ডট কম, প্রিয় শপ, বাগডুম ডটকম, দারাজ, এখনি ডটকম, আজকের ডিল, হাটবাজার, উপহার বিডি নামে ই-কর্মাস সাইটগুলোতেও রোজার শুরু থেকেই কেনাকাটা চলছে। শুধু পোশাক নয়, নামীদামি ফুটওয়্যার ব্র্যান্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইট ও ই-কমার্স সাইটগুলোতে এখন ক্রেতারা জুতাসহ সব ধরনের পণ্য কিনতে পারেন।
ঈদ ঘিরে দেশীয় পোশাকের অন্যতম ব্র্যান্ড আড়ং, ইয়েলো, লারিভ, সাদাকালো অঞ্জন’স, বিশ্বরঙ, রঙ বাংলাদেশ, দেশী দশের অন্য ব্র্যান্ড, ক্যাটস আই, রিচম্যান, ইয়েলো, কিউরিয়াস, এক্সটেসি, ক্লাব হাউজ, জেন্টেল পার্কসহ থপরিচিত ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর ফেইসবুক পেইজ ও ই-কমার্স সাইটে ঈদের সমাহার রেখেছে। তাদের ওয়েব সাইটে গিয়ে দেখা যায়, ঈদ ঘিরে ওয়েবসাইটও তারা নতুন পোশাকের ডিজাইন দাম দিয়ে রেখেছে। সেখানে শাড়ি, কুর্তা, সালোয়ার-কামিজ, ছেলেদের পায়জামা-পাঞ্জাবি, গয়না, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।
অনলাইনে পণ্য বিক্রি করা কোম্পানিগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) । প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর শোভন এর ভাষ্য, ই-ক্যাবের সদস্য আড়াই হাজার, কিন্তু দেশে ই-কমার্স সাইট আছে অন্তত তিন হাজার।
তিনি জানান, সাধারণত সারা বছর যে পরিমাণ পণ্য অনলাইনে বিক্রি ও ডেলিভারি হয়, ঈদের আগে তা ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। এবার পণ্য ডেলিভারি প্রায় ৯ লাখে দাঁড়াতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদের বাজারে মোট যে বিক্রি হয়, এবার তার ২৫ শতাংশ হতে পারে ই-কমার্সের মাধ্যমে এবং এফ-কমার্সে (ফেইসবুক ভিত্তিক) হতে পারে ১৮ শতাংশ।
প্রবাসীরাও অনলাইনে অর্ডার করেন জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, প্যারিস, ফ্রান্স, জার্মান থেকে অনলাইনে অর্ডার আসে। এতে করে অনেক প্রতিষ্ঠান ডেলিভারি চার্জ না নিয়েই পণ্য পাঠিয়ে দেয়।
পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অনলাইনে পণ্য কিনে কোনো ক্রেতার অভিযোগ থাকলে ওয়েবসাইটগুলোকেই জানাতে হবে। আর যদি এভাবে সমাধান না মেলে তবে ক্রেতারা চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ জানাতে পারেন।


আরো সংবাদ



premium cement