রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় নারীসহ তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২১ আগস্ট ২০২২, ০০:০৫
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় নারীসহ তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- আবু হানিফ (৫০), মেহেদী হাসান (২০) ও লাবনী আক্তার সোহাগী (২৬)। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক বরাত দিয়ে পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে পূর্ব বাড্ডার সেকান্দারবাগের একটি বাসা থেকে আবু হানিফের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হানিফের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আবার বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু সেই স্ত্রীর সাথে তার বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায় সব সময়ে কলহ লেগে থাকত। গতকাল পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে ঘরের সিলিংফ্যানের সাথে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন হানিফ। এ দিকে শনিবার বেলা দেড়টার দিকে মালিবাগ রনি টাওয়ারে বোনের সাথে ঝগড়া করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মেহেদী হাসান। বেলা দেড়টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তারা রামপুরার মালিবাগের রনি টাওয়ার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তার স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মেহেদীর বাবা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘ছেলেটা আমার সাথে কাঁচামালের ব্যবসা করত। গতকাল বাসায় ওর বোনের সাথে পারিবারিক ব্যাপার নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমান করে নিজের রুমে গিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফ্যানে সাথে ফাঁস দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা বিষয়টি টের পাই। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে রামপুরা বনশ্রী এলাকার একটি বাসা থেকে লাবণী আক্তার সোহাগী (২৬) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়। নিহত সোহাগী এক ছেলে ও এক মেয়ের মা। নিহতের স্বামী আমির হোসেন পুলিশকে জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসায় ফিরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত সোহাগী রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে দরজার কাছে গিয়ে ডাকাডাকি করে সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে তাকে গলায় উড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
সোহাগীর বড় ভাই রাসেল জানান, রাতে জানতে পারি আমার বোন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে ঢামেকের মর্গে গিয়ে তার লাশ দেখতে পাই। জানতে পেরেছি, পারিবারিক কলহের জেরে সে আত্মহত্যা করেছে। আমার বোন অনেক রাগি ও জেদি প্রকৃতির ছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা