২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম চালু

-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ চলমান কোভিড-১৯ এর সময়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে নিতে সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক কানেক্টিভিটি সুবিধার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনাগুলোকে উন্মোচন করে তাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে অনেকগুলো পদক্ষেপের মধ্যে এ ধরনের উদ্যোগ এটিই প্রথম।
দেশব্যাপী বিস্তৃত ফোরজি কানেক্টিভিটির সুবিধা গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় সিম কার্ড পৌঁছে দেয়া এবং তাদের প্রয়োজনীয় বিষয়ের সাথে সংযুক্ত রাখতে গ্রামীণফোনের সাথে পার্টনারশিপ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ। কোভিড পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সময়োচিত এ উদ্যোগ অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও এ ধরনের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে অনুপ্রাণিত করবে। শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত রাখতে এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য দীর্ঘমেয়াদি টেকসই সমাধান হিসেবে কাজ করবে এ পদক্ষেপ।
এ পার্টনারশিপের মাধ্যমে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের নিবন্ধিত সব শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাশ্রয়ী ও গুণগত মানের ফোরজি ডাটা সুবিধা দেয়া হবে। দেশের যেকোনো জায়গা থেকে শিক্ষক কর্তৃক ডিজাইনকৃত শিক্ষাবিষয়ক কনটেন্টও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। গ্রামীণফোনের বিস্তৃত ফোরজি নেটওয়ার্ক কাভারেজ শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সল্যুশনটি ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষকদের কন্ট্রোল প্যানেল ও ড্যাশবোর্ড ব্যবহারের সুবিধা দেবে এবং শিক্ষকরা এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় এসএমএস দিতে পারবেন এবং যোগাযোগ করতে পারবেন। সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষকরা গ্রামীণফোনের বিস্তৃত পরিসরের আইসিটি সমাধানগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাবেন এবং এর মাধ্যমে শিক্ষাকার্যক্রমে ডিজিটালাইজেশনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি টেকসই সমাধান নিয়ে আসতে পারবে। এ উপলক্ষে ১৯ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ‘ভবিষৎ বিনির্মাণে উচ্চশিক্ষায় সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন’ শীর্ষক এক ওয়েবিনার আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈনের সঞ্চলনায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন। ওয়েবিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অনুষদের ডিন এবং শিক্ষকবৃন্দ যোগ দেন। ঢাবি ভিসি প্রফেসর ড. মো: আখতারুজ্জামান বলেন, ‘কোভিড-১৯ আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। শিক্ষা খাতেও এর প্রভাব লক্ষণীয়। এ পরিস্থিতিতে আমাদের ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে, কেননা একটি দেশের উন্নতির জন্য শিক্ষাখাতের অগ্রগতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, ভবিষ্যতের এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রামীণফোনের এ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই এবং আমরা প্রত্যাশা করি এ ধরনের উদ্যোগ তারা আরো বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে দেবে।’ প্রোভিসি (অ্যাকাডেমিক) ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘করোনায় পুরো বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে। তা সত্ত্বেও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে কানেক্টিভিটির মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পেরেছি। শিক্ষার্থীদের বিকাশের জন্য ইন্ডাস্ট্রি ও অ্যাকাডেমিয়ারের মধ্যে সমন্বয় দরকার। এ ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মসূচি গ্রহণের জন্য গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ। গ্রামীণফোনের এ ধরনের উদ্যোগ চলমান থাকবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’ ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন বলেন, ‘অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম ও জরুরি দূরশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে আমরা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ে ডাটা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা অন্যতম। গ্রামীণফোনের সাথে এ অংশীদারিত্বের এ সমস্যা দূর হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক মহামারীর নতুন স্বাভাবিকতায় পুরো বিশ্ব নতুন ডিজিটাল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করছে। এ বৈশ্বিক মহামারী আমাদের আর্থ-সামাজিক জীবনে নানা বিঘœ ঘটিয়েছে। অপ্রতিরোধ্য জাতি হিসেবে করোনা থেকে রক্ষা পেতে এবং আমাদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। শিক্ষার্থীরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যদি তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয় তাহলে আমরা এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব না। কানেক্টিভিটি ও সল্যুশন পার্টনার হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ প্রচেষ্টার অংশ হতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। গ্রামীণফোনের বিস্তৃত ফোরজি-এলটিই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ প্রযুক্তি ও ডিজিটালাইজেশনের পূর্ণ সুবিধা পাওয়া উচিত।’ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা যত বেশি প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করবে, এর পাশাপাশি বাড়বে সুবিধামতো সময়ে সাশ্রয়ী খরচে শেখার আগ্রহ, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অনলাইন শিক্ষার চাহিদা দেশের ডিজিটাল শিক্ষার অবকাঠামোর প্রয়োজনীয়তাকে বাড়িয়ে তুলবে। গ্রামীণফোনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর উচ্চগতি সম্পন্ন ফোরজি কানেক্টিভিটি এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement