১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

উন্মুক্ত হলো কক্সবাজার সি বিচ

খুলেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানও
-

পর্যটকদের জন্য কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত অবশেষে খুলে দেয়া হলো। একইসাথে কোভিড-১৯ এর কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ হওয়া পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে দেয়া হয় গতকাল সোমবার থেকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সৈকত তীরের হোটেল, মোটেল, কটেজ, বার্মিজস্টোর ও রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে এটিকে ‘পরীক্ষামূলক খুলে দেয়া’ বলে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন জানান, পরিস্থিতির অবনতি না হলে পর্যটন শিল্প স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে যাবে। তিনি বলেন, শুধু কক্সবাজার জেলায় পর্যটন শিল্পের সাথে বিভিন্নভাবে কয়েক লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। তাদের কথা চিন্তা করে সীমিত আকারে পর্যটন শিল্প খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবকিছু করতে হবে। স্টেক হোল্ডারসহ কক্সবাজারে পর্যটনশিল্পের সাথে সম্পৃক্ত সবার সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক। বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং আগত পর্যটকদের সবসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং মানতে বাধ্য করতে হবে। তারপরও কেউ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক তদারকি থাকবে বিচ এলাকায়। ৫ আগস্ট জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির জুম কনফারেন্সে শুধু কক্সবাজার পৌর এলাকার পর্যটন শিল্প স¤পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এ দিকে দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস পর সীমিত আকারে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে হোটেল, মোটেল, কটেজ, রেস্টুরেন্ট, ক্ষুদে, ভাসমান ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে প্রস্তুতির ধুম পড়েছে। ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য। স্বাস্থ্যবিধির আলোকে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবস্থা। সমুদ্র তীরে স্থানীয় লোকজন ছাড়া বাইরের পর্যটক তেমন আসেনি প্রথম দিনে। কলাতলীর হানিমুন গেস্ট হাউজের মালিক সরওয়ার কামাল জানান, করোনার কারণে বন্ধ হওয়া পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং বিচ সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিতভাবে খুলে দেয়ায় সবার মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তিনি জানান, আলোচিত মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা বেশ কয়েক দিন আগে কক্সবাজার এসে বিভিন্ন হোটেলে উঠেছেন। এ ছাড়া ঈদের পর থেকেও কিছু কিছু পর্যটক কক্সবাজার আসছেন। আশা করছি ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। পুরো পর্যটন শিল্প কখন খুলে দেয়া হবে এমন প্রশ্নে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বলেন, কক্সবাজার পৌর এলাকার পর্যটন শিল্প সীমিত আকারে খোলা থাকা অবস্থায় কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের মাত্রা ও গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে পর্যটন শিল্পের উন্মুক্ত এলাকা আরো সম্প্রসারিত বা সঙ্কুুচিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অপর দিকে পর্যটন স্পট খুলে দেয়ার খবরে পর্যটক ও পর্যটন শিল্পের সার্বিক নিরাপত্তায় বেশ প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান।


আরো সংবাদ



premium cement