বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন ৩৫৯০ পরীক্ষার্থী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৫ আগস্ট ২০২০, ০৬:০১
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন ৩৫৯০ জন পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বিধি পুনরায় সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। ওই গেজেটে পূর্বের ন্যায় এমসিকিউ পরীক্ষায় পাশ করার পর দুইবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রেখে সুনির্দিষ্টভাবে যোগ করা হয় যে, এ সংশোধনী ২০১৭ সালের ২১ জুলাই তারিখে কার্যকর হয়েছে বলে গণ্য হবে। এ গেজেট প্রকাশের পর ওই ৩৫৯০ জন পরীক্ষার্থী আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিতব্য লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আর কোনো বাধা নেই।
গত ২৬ জুলাই ৩৫৯০ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষা দিতে পারবে না মর্মে বার কাউন্সিল নোটিশ প্রকাশ করে। উক্ত অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির গত ২৮ জুলাই একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। রিট আবেদনটি দায়েরের পর বিচারপতি তারিক-উল-হাকিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে গত ১০ আগস্ট শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত এক সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবির প্রার্থনা করেন। তিনি নিবেদন করেন যে, বার কাউন্সিল আইন সংশোধনের উদ্দেশ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করেছে। তারা চেষ্টা করছেন আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে। তখন আইনজীবী শিশির মনির আদালতকে বলেন, তারা অভ্যন্তরীণভাবে কী যোগাযোগ করছেন বা কত সময় লাগবে এ সম্পর্কে আমরা কিভাবে জানব? তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত বলেন, যদি তারা এই সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করতে না পারেন, তখন আদালত যে আদেশ দিবেন তাই তারা মেনে নিবেন। এরপর আদালত মৌখিকভাবে বলেন, আমরা এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি রাখছি। যদি এর মধ্যে তারা কোন সমাধানে না পৌঁছাতে পারে তাহলে আগামী সপ্তাহে আমরা আদেশ প্রদান করব।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, গেজেট প্রকাশের পর আদালতের পক্ষ হতে আর কোনো আদেশের প্রয়োজন নেই, তিনি রিট আবেদনটি প্রত্যাহার করে নিবেন। তিনি গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদেরকে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ায় সংশ্লিষ্টদেরকে ধন্যবাদ জানান। আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ২০১৭ সালের ২১ জুলাই এমসিকিউ পরীক্ষা গ্রহণ করে। উক্ত পরীক্ষায় ১১৮৪৬ জন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়। তাদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ তারিখে। লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে ৮১৩০ জন পরীক্ষার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। উক্ত পরীক্ষায় ৩৫৯০ জন পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। এর পূর্বে ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর বার কাউন্সিলের আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত বিধি ৬০ক সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। উক্ত গেজেটে বলা হয় যে, এমসিকিউ পরীক্ষায় পাশকৃত পরীক্ষার্থীরা পরপর দুইবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এর পরিপ্রক্ষিতে বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর নোটিশ দিয়ে ২০১৭ সালের এমসিকিউ পরীক্ষায় পাশ করা উক্ত ৩৫৯০ জন পরীক্ষার্থী সরাসরি আগামী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে মর্মে বলা হয়। ইতোমধ্যে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আরেকটি এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং পরের দিন যার ফলাফলও প্রকাশিত হয়। পরবর্তিতে গত ২৬ জুলাই বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে পুনরায় নোটিশ দিয়ে বলা হয় যে, ২০১৭ সালের এমসিকিউ পরীক্ষায় পাশকৃত উল্লিখিত ৩৫৯০ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা