এবারের ঈদেও দুর্ভোগে পড়তে হবে যাত্রীদের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৭ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
ভাঙাচোরা সড়ক, ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথ, দীর্ঘ যানজট, দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চালানো ইত্যাদি কারণে প্রতিবারের মতো আসন্ন ঈদুল আজহাতেও দুর্ভোগে পড়তে হবে ঘরমুখো যাত্রীদের। গতকাল শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ঈদুল আজহার যাত্রা প্রস্তুতি : আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় উদ্ধারকর্মীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ আশঙ্কা প্রকাশ করে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিপুল বিনিয়োগের পরও রেলওয়ের গতিবেগ পাশের অনেক দেশের তুলনায় কম। আর বিভিন্ন রেলসেতুর আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেলেও নতুন সেতু নির্মিত না হওয়ায় রেল দুর্ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এ ছাড়া সড়ক-মহাসড়কে গণপরিবহনের বিশৃঙ্খলা, আকাশপথে টিকিট সঙ্কট, নৌপথে যাতায়াতের ঝুঁকি ইত্যাদি কারণে এবারের ঈদযাত্রাতেও স্বস্তি পাবে না ঘরমুখো যাত্রীরা। তারা আরো বলেন, এবারের ঈদে দেশের চার কোটি যাত্রীর ১২ কোটি ট্রিপ সামাল দিতে সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথ প্রস্তুত নয়।
রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো: মিয়া জাহান বলেন, সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। এই প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে রেলপথে নিরাপদ যাত্রী সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ খোকন বলেন, ঈদকেন্দ্রিক যে দুর্ঘটনা হয় সেগুলোর জন্য শুধু চালকরা দায়ী নয়। কিছু কিছু সময় সড়ক ও মালিকও দায়ী থাকে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দীন চৌধুরী বলেন, রেল প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের সমন্বয়হীনতা, প্রকৌশল বিভাগের অব্যবস্থাপনা, ১০০ থেকে ১৫০ বছরের পুরনো রেলসেতু, দীর্ঘ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ ইঞ্জিন, পাথরহীন রেলপথ, সংস্কারহীন পুরনো রেললাইনের কারণে রেলপথে ঝুঁকি ক্রমেই চরম আকার ধারণ করছে। এসব জটিলতা নিরসনে নানামুখী প্রকল্প থাকলেও তা বাস্তবায়নে রেলওয়ে প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দীন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল যুবায়ের, অর্থ সম্পাদক সায়মুন নাহার জিদনী প্রমুখ।
সভায় যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম এসপিপি (অব:) যাত্রী ভোগান্তি, দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা কমাতে ২০ দফা সুপারিশ দিয়েছেন। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে, সড়ক-মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতসহ জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে যানজটমুক্ত রাখার ব্যবস্থা করা। রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করা। বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলস্টেশনগুলোর শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার মালিক শ্রমিক যাত্রী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ভিজিলেন্স টিম গঠন করা। সড়কের পাশে পশুর হাট ইজারা না দেয়া এবং সড়কের অস্থায়ী বাজার অপসারণ করা। লক্কড়-ঝক্কর ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লঞ্চ চলাচলে নিয়ন্ত্রণ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ব্যবস্থা করা। যানজট নিরসনে সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের গ্যাপ যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনা। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রবণতা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা ইত্যাদি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা