০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১, ৫ শাবান ১৪৪৬
`

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে দুদকের চিঠি

-

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত লকারে কর্মকর্তাদের রাখা অর্থসম্পদ সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত (ফ্রিজ) করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকটির গভর্নরকে অনুরোধ জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কেউ যেন লকার খুলে রক্ষিত মালামাল নিতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিশেষ ওইসব লকারে অপ্রদর্শিত বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদ জমা রয়েছে বলে মনে করছে দুদক। গতকাল দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের সই করা চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দুদকের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, গত রোববার দুদক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর এই চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুদকের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর ‘সেফ ডিপোজিট’ তল্লাশি করে। সেখানে তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, এক কেজি ৫ দশমিক ৪ গ্রাম সোনা এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়। যা তার নিয়মিত আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা হয়নি।
চিঠিতে আরো বলা হয়, তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কয়েকজন কর্মকর্তাও সিলগালা করে অর্থসম্পদ রেখেছেন। এসব সিলগালা কোটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকতে পারে বলে মনে করছে দুদক। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে অনুসন্ধান চলমান থাকার কথা চিঠিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমন অবস্থায় কর্মকর্তাদের লকারে থাকা অর্থসম্পদ স্থগিত (ফ্রিজ) করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে দুদক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি অর্থ উপদেষ্টার সাথে দুদকের চেয়ারম্যানের আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িক স্থগিত করার (ফ্রিজ) সম্মতি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, গভর্নরকে দেয়া দুদকের চিঠি ও অর্থ উপদেষ্টার সম্মতি থাকায় ভল্টের সব লকারের সম্পদ ফ্রিজ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে এর মালিকরা তাদের লকার থেকে কোনো ধরনের অর্থসম্পদ সরিয়ে নিতে পারবেন না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সব লকার খোলা ও লকারে থাকা অর্থসম্পদের তালিকা তৈরির অনুমতির জন্য গত সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে দুদক।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, ‘বিগত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নরের সেফ ডিপোজিট তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কিছু কর্মকর্তারাও সিলগালা করে সেফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। কমিশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টের লকারে রক্ষিত অন্যান্য কর্মকর্তাদের সেইফ ডিপোজিটগুলো তল্লাশি ও ইনভেন্টরি লিস্ট করার অনুমতি চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন দাখিলের সদয় অনুমতি দিয়েছেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত লকারে সেফ ডিপোজিট খোলার আবেদন আদালতে দাখিল করার পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।’
শিগগিরই এ সংক্রান্ত আদেশ দেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর ওই সব লকার খোলা, অর্থসম্পদ গণনা ও তালিকা তৈরির জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করার জন্য দুই-এক দিনের মধ্যে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জমা দেবে দুদক।


আরো সংবাদ



premium cement
পিরোজপুরে অটোরিকশাচাপায় স্কুলশিক্ষার্থী নিহত শেখ মুজিবের পরিবার আগাগোড়া স্বৈরতন্ত্রের অনুসরণ করেছে : দুদু চীনে কারাবন্দী লেখকের স্বাস্থ্য নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ বিদেশে পলাতক আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রংপুরে জুলাই স্মারকের মোড়ক উন্মোচন গণহত্যাকারীদের বিচার দাবিতে কুমিল্লায় বিক্ষোভ সমাবেশ গাজা নিয়ে কথা বলায় চাকরিচ্যুত সাংবাদিকের পাশে উসমান খাজা র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি রাবেয়া-মুর্শিদাদের জাতিসঙ্ঘ নিয়ে ট্রাম্পের নতুন পদক্ষেপ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব কোটালীপাড়ায় কবর থেকে লাশ চুরি

সকল